মোঘল সাম্রাজ্যের নিদর্শন মির্জানগর হাম্মামখানা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১১:৩৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
যশোরে মোঘল সাম্রাজ্যের নিদর্শন মির্জানগর হাম্মামখানা। জেলা সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কেশবপুর উপজেলার নিদর্শনটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষিত পুরাকৃতি হিসেবে ঘোষণা করে।
৩শ ৬১ বছরের পুরনো মোগল স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন মীর্জানগর হাম্মামখানা। মোগল রাজা-বাদশাদের গোসলের স্থানটির অবস্থান কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থলে ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে।
মির্জা সফসি খানের নাম অনুসারে এ গ্রামের নামকরণ হয় মির্জানগর। ১৬৪৯ সালে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা তার শ্যালক পুত্র মির্জা সফসি খান ও নুরুল্লাহ খানকে যশোরের ফৌজদার নিযুক্ত করেন। তারা মির্জানগরের প্রসাদ স্থাপন করেন। এখন সেটি না থাকলেও হাম্মামখানাটি সাক্ষী হয়ে টিকে আছে।
হাম্মামখানাটির আকৃতি আয়তাকার। নির্মানে ব্যবহার করা হয়েছে চুন-সুরকি এবং বর্গাকৃতির ইট। রয়েছে চারটি গম্বুজ। ভেতরে চারটি কক্ষ।
কক্ষের চারপাশের দেওয়ালে একটি করে কুলঙ্গি। পশ্চিম দিকে প্রবেশ পথ। চারটি কক্ষের একটি প্রসাধন কক্ষ। এই কক্ষ থেকে খিলানযুক্ত পথ দিয়ে আর একটি কক্ষে যাওয়া যায় । যেটি পোশাক বদলের কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
উত্তর কোনে জলাধার থেকে পানি আসতো পোড়া মাটির তৈরি পাইপের মাধ্যমে। মূল কক্ষে আলো ঢোকার জন্য দেওয়ালে গোলাকার একটি ফাঁকা। পূর্ব পাশের দেওয়ালের বেষ্টনির ভিতরে পোড়া মাটির ইটে তৈরি কূপ। এ কূপ থেকে পানি এনে ছাদের দুটি চৌবাচ্চায় রেখে রোদে গরম করা হতো ।
পুরাকৃতিটি দেখতে যশোর থেকে বাসে কেশবপুর এসে ত্রিমোহিনী মোড় থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল কিংবা থ্রি হুইলারে যাওয়া যাবে।
এমএম/
আরও পড়ুন