আবারও হুমকির মুখে সুবর্ণচরে পৈশাচিকতার শিকার সেই নারী
প্রকাশিত : ১২:০৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সুবর্ণচরে পৈশাচিকতার শিকার সেই নারী
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যম বাগ্যার নিজ বাড়িতে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হন এক নারী। বিরোধী দলকে ভোট দেয়ায় ঘরে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে সেই নারীর উপর চালানো হয়েছিল পৈশাচিক নির্যাতন। ঘটনাটি তখন সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আলাদাভাবে পরিচিতি পায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের নির্বাচনে মধ্যম চরবাগ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারও ভোট দিতে আসেন সেই নারী। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও এক মেম্বার প্রার্থী তাকে ভোটের পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এবারও চরজুবলি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের মেম্বার পদপ্রার্থী আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টর ভোটের আগে তার পক্ষে কাজ না করায় ভোটের পরে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
অনেকটা আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা নিয়েই তিনি এসেছেন ভোট দিতে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটও দিয়েছেন। ভোট দেয়ার সময় তাকে কেউ কোনও বাধা দেয়নি। তবে ভোটের পর পরিস্থিতি কি হবে, তা নিয়ে বেশ ভয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান, এ মুহূর্তে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করছেন মেম্বার প্রার্থী আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টর। তিনি জানান, আমিও বিএনপি করি, সেও (ভুক্তভোগী নারী) বিএনপি করে। তাকে আমি কেন হুমকি দিব? সে তো আমার দলের লোক। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি তাকে কোন হুমকি-ধমকি দেইনি।
আবদুল মালেক কন্ট্রাক্টর চরজুবলি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত সফর আলীর ছেলে এবং চরজুবলি ইউনিয়নের একই ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকে মেম্বার পদে এবার নির্বাচন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ক্রাইম) দীপক জ্যোতি খীসা জানান, এ বিষয়ে ওই নারীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএস//
আরও পড়ুন