কাজী আরেফ হত্যার ২৩ বছর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ ৫ নেতা হত্যার ২৩ বছর বুধবার। এ মামলায় ৩ জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৪ জন এখনও পলাতক। তাদের খুঁজে বের করে রায় কার্যকরের দাবি স্বজন ও স্থানীয়দের।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত হন কাজী আরেফসহ ৫ জাসদ নেতা।
এ হত্যা মামলায় ২০১৫ সালে তিন ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও একজন সম্প্রতি গ্রেফতার হলেও এখনও পলাতক ৪ জন।
স্থানীয়রা জানান, ‘ওনাকে জঘন্যভাবে হত্যা করা হয়েছিল। নির্মমভাবে মঞ্চে পুড়িয়ে থাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে মোটরসাইকেলযোগে সটকে পরে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার কাম্য করি আমরা।’
কাজী আরেফের স্মৃতি সংরক্ষণে হত্যাকাণ্ডের স্থলে একটি স্মৃতিস্তভ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।
কাজী আরেফ হত্যা মামলার সাক্ষী কারসেদ আলম বলেন, ‘আমাদের দাবি পলাতক আসামিদের গ্রেফতার এবং তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক। এ মামলায় যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার রায় কার্যকর করা হোক।’
কাজী আরেফের ভাতিজা কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তার নামে এ এলাকায় কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই। যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে ওখানে এবং যেখান থেকে শুরু এ দুটি জায়গায় তার নামে ফলক অথবা স্মৃতির উদ্দেশ্যে কিছু একটা করার সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় কার্যকরের পাশাপাশি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদেরও চিহ্নিত করার দাবি তাদের।
এএইচ/
আরও পড়ুন