নওগাঁয় পুলিশের ‘বডিওর্ন ক্যামেরা’ চালু  

নওগাঁয় পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের শরীরে ‘বডিওর্ন ক্যামেরা টেকনিক্যাল’ চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শনিবার দুপুরে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম।

এসময় পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা অর্জন করতে পেরেছি। এখনো অনেক বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের যে প্ল্যান দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য উন্নত পুলিশ দরকার। উন্নত বিশ্বের পুলিশের সঙ্গে অনেক ধরনের সরঞ্জাম থাকে এবং হাত ফ্রি থাকে। বাংলাদেশের চালু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে। যেখানে জনগণ এবং পুলিশ সদস্যের কথা অসলগ্ন হয়ে থাকে। এখন থেকে পুলিশ সদস্যরা কোন তদন্ত বা অভিযানে গেলে বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবে। এতে জনগণ উপকৃত হবে এবং পুলিশের জবাবদিহিতায় স্বচ্ছতা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি ‘বডিওর্ন ক্যামেরা টেকনিক্যাল’ জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে দায়িত্বরত সকল পুলিশ সদস্যদের শীররে যুক্ত করা হবে। ৪০ মেগাপিক্সেলের হাই রেজুলেশন ক্যামেরাতে একই সঙ্গে অডিও ও ভিডিও করা যাবে। এছাড়া ৩৬০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে ঘুরানোসহ ওয়াইফাই, থ্রিজ্রি, ফোরজি ও জিপিএস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির সাহায্যে সরাসরি যে কোন স্থান থেকে তদারকি করা যাবে। রেকর্ডকৃত তথ্য চলে যাবে কেন্দ্রীয় সার্ভারে। ধারণকৃত কোন তথ্য মুছে ফেলার কোন সুযোগ নাই।

টহল ডিউটি ও চেকপোষ্ট পরিচালনাসহ যে কোন অভিযানে পুলিশ সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এই বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। এর মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের পাশপাশি পুলিশ সদস্যদের আচরণ ও গতিবিধি নজরদারীরর মধ্যে আনা হবে। ক্যামেরাটি ইউনিফর্মের সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে সংযুক্ত থাকবে।
টেকনিক্যাল বেল্টের শ্লোগান হচ্ছে- ‘হ্যান্ড ফ্রি পুলিশিং’। যেখানে আধুনিক বেল্ট থাকবে পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, এক্সপেন্ডেবল ব্যাটন, পানির পট, টর্চ লাইট ও ওয়্যারলেস।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুরাইয়া খাতুন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেএম শামসুদ্দিন, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ, ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্য এবং পরিবহন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেআই//