চাকরির প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা পিবিআইতে হস্তান্তর
প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৬:৪৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ফুয়াদ আল মতিন
নোয়াখালীর চাটখিলে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোমল পানির সাথে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে এক সন্তানের জননীকে (২৩) মারধর, ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের করা মামলটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-তে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি ফুয়াদ আল মতিনকে (৩৮) ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে চাটখিল থানা থেকে ভুক্তভোগীর দায়ের করা ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ৮ (১) সহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে জেলা পিবিআই ইন্সপেক্টর সিরাজুল মোস্তফা।
এদিন মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে জেলা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামি ফুয়াদ আল মতিনকে কুমিল্লার কন্দিরপাড় এলাকার আবাসিক হোটেল আল রফিক থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই হোটেলে নিজের নাম মাসুদ রানা ও পিতার নাম একরামুল হক ব্যবহার করে অবস্থান নেন। মঙ্গলবার-বুধবারের কোনও একসময় তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার আবেদন ও ভুক্তভোগী নারীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফুয়াদ গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় চাটখিলের স্থানীয় পাল্লা বাজারে যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ওই নারীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়। প্রথমে তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। পরে ধর্ষণ করার সময় তা মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ফুয়াদের অপর সঙ্গী। এক পর্যায়ে ওই নারীকে অফিস থেকে বের করে দিলে অর্ধ অচেতন অবস্থায় ওই নারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের সহায়তায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর অভিযোগ গ্রহণ করেন।
এনএস//
আরও পড়ুন