চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৬:২৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হাশেম আলীর (৩৮) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হাশেম আলী জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক উজ-জামান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন হাসেম আলী। কারাগারে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাত আড়াইটার দিকে হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন হাসেম আলী। এরপর ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট হাসেম আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার তৎকালীন এসআই আনোয়ার হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি বাদী ও তার শিশু কন্যার ডিএনএ টেস্ট পরীক্ষা করে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একমাত্র আসামি হাসেম আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেন বিজ্ঞ বিচারক জিয়া হায়দার এ মামলায় তিনজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। শেষে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল আসামি হাসেম আলীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একই রায়ে উল্লেখ করা হয় ওই কিশোরীর যতদিন বিয়ে না হবে ততদিন তার ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
আলোচিত এ মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খাঁন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এনএস//
আরও পড়ুন