হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে এসে কনে ছাড়াই ফিরলেন বর
প্রকাশিত : ০৮:৪২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নেত্রকোনায় মহা ধূমধাম করে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। কিন্তু সেই হেলিকপ্টারে কনে ছাড়াই একা বরকেই ফিরতে হয়েছে। কারণ কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় পূর্বধলা ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন।
এতে করে স্কুলছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন।
জানা গেছে, জেলার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের স্থানীয় মৌদাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া (১৬) জনৈক প্রবাসীর মেয়ে স্কুলছাত্রীর সাথে কিছুদিন আগে ব্রাম্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মো. আলেক মিয়ার ছেলে মো. শাহজালালের বিয়ে ঠিক হয়।
শুক্রবার উপজেলা সদরের রাজপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। বর শাহজালাল কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে ওইদিন বেলা পৌনে দুইটার দিকে পূর্বধলা উপজেলা সদরে জগৎমনি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন। পূর্বধলায় প্রথমবারের মত হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর ও হেলিকপ্টার দেখতে উপজেলার আশপাশের গ্রামের উৎসুক জনতা ভীড় জমান।
উৎসুক জনতার ভীড় সামলাতে স্কুল মাঠে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া অন্য বর যাত্রীরা সড়ক পথে মাইক্রোবাসে করে আসেন।
খবর পেয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স পুলিশ নিয়ে বিকেলে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়েটি ভেঙে দেওয়া হয়। এতে করে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ওই স্কুলছাত্রী।
প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না বলে কনে পক্ষের কাছ থেকে মুছলেকা নেওয়া হয়েছে।
ফলে, বিয়ে ছাড়াই ফিরে বরযাত্রীকে ফেরত যেতে হয় বরকে।
এ সময় পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, “ভূয়া জন্মসনদ দিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। জন্মসদনটি যাচাই-বাছাই করে ধরা পড়ে এটি ভূয়া। পরে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, “ইউএনও বাল্যবিয়ের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে বলা হয়।”
এএইচ/
আরও পড়ুন