ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-ভারত জমকালো সাংস্কৃতিক মিলনমেলা

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নাটোরে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলন মেলায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশনের মাধ্যমে আলো ছড়িয়েছে দুই দেশের শিল্পিরা। বাংলাদেশ ও ভারতীয় শিল্পিদের সংগীত পরিবেশনা দর্শক-স্রোতাদের করেছে মুগ্ধ। এই সাংস্কৃতিক মিলনমেলার আয়োজন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে প্রত্যাশা দু’দেশের মানুষদের।

রোববার সন্ধ্যায় নাটোরের ইতিহাসখ্যাত উত্তরা গণভবন চত্বরে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। 

এই সাংস্কৃতিক মিলন মেলায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম প্রসাদ পালসহ ভারতের প্রতিনিধি দলের আগমন মিলনমেলার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা ভারতীয় অতিথিরা ইতিহাসখ্যাত উত্তরা গণভবনের শৈল্পিক স্থাপনাসহ আতিথিয়তায় মুগ্ধ হন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলার যুগ্ম আহ্বায়ক জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং ফ্রেন্ডস্ অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট সত্যম রায় চৌধুরী মঞ্চে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

জেলা প্রশাসন ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের আয়োজনে এই সাংস্কৃতিক মিলন মেলায় ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং ফ্রেন্ডস্ অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট সত্যম রায় চৌধুরী, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটিং চ্যাপ্টারের প্রধান সমন্বয়ক এ এস এম সামছুল আরেফিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রমুখের ধারণকৃত বক্তব্য অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। 

বক্তব্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

সন্ধ্যায় পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার লাইট শো’র মাধ্যমে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার পথ পরিক্রমা উপস্থাপন করা হয়। 

এরপর ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পিদের অংশগ্রহণে যৌথ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শুরু হয়। এর আগে অতিথিবৃন্দ উত্তরা গণভবনে বঙ্গবন্ধুর ওপর পাভেল রহমানের একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপভোগ করেন। 

সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুই দেশের বিশিষ্টজনরা।

ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী রাম প্রসাদ পাল তার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু। এই মিলন মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য্য বলেন, নাটোরের মানুষ অতিথি পরায়ন, তাদের আতিথিয়তায় মুগ্ধ। এখানে এসে অভুতপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। মনে হয়েছে ইতিহাস হাতের মুঠোয়।

রাজশাহীর সিটি মেয়র বলেন, ভারত থেকে আগত অতিথিদের সাথে আলোচনা হয়েছে, আগামীতে রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালুসহ পদ্মা নদীর নৌ রুট ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করা হবে।
সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে রাজশাহী অঞ্চল থেকে ভাব বিনিময় শুরু হলো, উল্লেখ করেন মেয়র।

নাটোর জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চম সাংস্কৃতিক মিলন মেলার আয়োজন উত্তরা গণভবন ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই আয়োজনে বন্ধু রাষ্ট্রের অতিথিরাও বেশ খুশি এবং সম্মানিত বোধ করেছেন। 

সকলের সহযোগীয় অনুষ্ঠান সুন্দর স্বার্থকভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি