পশুর নদীতে ফের কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজ ডুবি
প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ৫ মার্চ ২০২২
পশুর নদীতে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া এমভি নাওমী জাহাজ
মোংলা বন্দরের ডুবো চরে ধাক্কা লেগে কয়লা নিয়ে ডুবে গেছে এমভি নাওমী নামে একটি লাইটার জাহাজ। তবে দুই নিরাপত্তা কর্মিসহ জাহাজের আট নাবিক নিরাপদে তীরে উঠে যাওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বন্দরের পশুর নদীতে তলে ফেটে ছয়শ’ টন কয়লাসহ ডুবে যায় জাহাজটি।
ক্যাপ্টেন শাহাদাত বলেন, শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে পশুর নদীর মূল নৌ চ্যানেলের বাইরে দুর্ঘটনা ঘটায় পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বন্দরের পশুর চ্যানেল। আগামী তিনদিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ এবং ১৫ দিনের মধ্যে ওই জাহাজটি উত্তোলন করতে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দূর্ঘটনায় কবলিত এমভি নাওমী লাইটার জাহাজের মাস্টার মোঃ আজিজুল হক শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, মোংলা বন্দরের হাড়বারিয়া ৫ নম্বর বয়ায় অবস্থান করা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘সিএমভি জর্দান’ থেকে বৃহস্পতিবার ৬শ’ টন কয়লা বোঝাই করে ফিরছিলেন। চার নম্বর বয়ার কাছাকাছি আসলে ডুবন্ত রেকের সাথে ধাক্কা লেগে তাদের জাহাজের তলা ফেটে ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে যায়।
এসময় অন্য লাইটার জাহাজের সহায়তায় দুই নিরাপত্তা কর্মিসহ এমভি নওমীর আট নাবিক কূলে উঠতে সক্ষম হন। পরে তারা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার খবর জানান এবং এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলা থানায় জিডি (সাধারণ ডাইরী) করেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর পশুর নদীতে কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এমভি ফারদিন-১ নামে একটি লাইটার জাহাজ। তবে এরই মধ্যে সেটি উত্তোলন করা হয়েছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের।
এএইচ/
আরও পড়ুন