ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ শুরু, চলবে আড়াই মাস

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৪২, ১৫ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১০:৪৩, ১৫ মার্চ ২০২২

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সুন্দরবন জুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে মধু আহরণ মৌসুম। চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। বিগত বছরগুলোতে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দুই মাস সীমাবদ্ধ রাখলেও এবার খলসি ফুলের উৎকৃষ্ট মানের মধু আহরণের জন্য ১৫ দিন বাড়িয়ে আড়াই মাস করা হয়েছে।

সুন্দরবনে যে কয়টি প্রজাতির ফুলের মধু পাওয়া যায় তার মধ্যে খলসি ও গরান ফুলের মধু উন্নতমানের। এরমধ্যে আগাম ফুল আসে খলসি গাছে। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে খলসি প্রজাতির গাছ অধিক পরিমাণ থাকায় সেখানের মৌয়ালরা বন বিভাগের কাছ থেকে পাশ-পারমিট নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোর থেকে সুন্দরবনে যাচ্ছেন। 

তবে, সাতক্ষীরা তুলনায় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে খলসি গাছ খুবই কম থাকায় বাগেরহাটের মৌয়ালরা এখনও বন বিভাগ থেকে পাস গ্রহণ করেনি। তাই আজ সুন্দরবনে যাচ্ছেন না এ এলাকার মৌয়ালরা। 

উপকূলীয় এলাকার অভিজ্ঞ মৌয়ালরা জানান, সুন্দরবনের গাছে সবেমাত্র ফুল আসতে শুরু করেছে। মৌমাছিরা এখন বাসা তৈরিতে ব্যস্ত। এই মুহূর্তে চাকে আঘাত লাগলে বা মধু সংগ্রহের জন্য মশাল জ্বালিয়ে ধোঁয়া দিলে মৌমাছিরা বন ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবে। ফলে মধু সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হবে।

মোংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের মোঃ বেল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান ও আব্দুল মালেক ফরাজি বলেন, আগাম পাসে লাভবান হবে পশ্চিম বিভাগের মৌয়ালরা। এই সময় বনে গেলে পূর্ব বিভাগের মৌয়ালদের লোকসান গুণতে হবে। তাই আগামী ১ এপ্রিল থেকে তারা মধু আহরণ করতে সুন্দরবনে যাবেন।

মধু আহরণে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।

আগে যেখানে ১৫ দিনে জনপ্রতি রাজস্ব ছিল ৭৫০ টাকা। এবার সেখানে জনপ্রতি ১৫০০ টাকা করা হয়েছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ এবছর (২০২১-২০২২ অর্থবছর) ১০৫০ কুইন্টাল মধু, ৩৫০ কুইন্টার মোম আহরণ এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ লাখ টাকা। 

গত বছর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ থেকে ২৭৩ জন মৌয়াল পাশপারমিট নিয়ে সুন্দরবন থেকে ১০৪৪ কুইন্টাল মধু ও ৩৫০ কুইন্টার মোম আহরণ করেন। রাজস্ব আয় হয় ১০ লাখ ৯৬ হাজার ২শ’ টাকা।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই এলাকা নিয়ে বাগেরহাট পূর্ব বনবিভাগ এবং খুলনা ও সাতক্ষীরা নিয়ে হচ্ছে পশ্চিম বিভাগের বনাঞ্চলের ভৌগোলিকগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। একারণে দুই অঞ্চলে সমগোত্রের গাছপালাও একই রকম জন্মায় না। 

খলসি ফুলের উৎকৃষ্ট মানের মধু বেশি পরিমাণে আহরণ করতে ১৫ দিন এগিয়ে দুই মাস থেকে আড়াই মাস মধু আহরণ মৌসুম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। 

আগাম আসা এই মধু যাতে অন্য কেউ অবৈধভাবে আহরণ করতে না পারে, এজন্য স্মার্ট প্যাট্রলিংসহ টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি