হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ১ বছর আজ
প্রকাশিত : ১২:৪৬, ১ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৩:২২, ১ জুলাই ২০১৭
হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। এতে নিহত হয় জাপান, ইতালি ও ভারতের ১৭ নাগরিক। সেদিনের ওই নির্মম ঘটনার সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছেন অনেকে। ঘটনার রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত জিম্মি অবস্থায় ছিলেন অনেকে। চোখের সামনেই দেখেছেন জঙ্গিদের নারকীয় তাণ্ডব, গুলি, জবাই আর রক্ত। বিভৎস সেই স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় তাদের। ঘুমের মধ্যে এখনও দেখতে পান জঙ্গিদের নির্মমতা।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ। এই চিত্র জঙ্গি হামলার পর রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে ধারণ করা। দেয়াল, মেঝেতে থোকা থোকা রক্ত। সবকিছু তছনছ। জঙ্গিদের নির্মমতার প্রমাণ। নিহতদের ছবি দেখা বা প্রকাশের মতো নয়। হত্যাকাণ্ডের সময় এই জঙ্গি শিশুদের চোখ-কান ঢেকে রাখতে বলে, বন্ধ করে দেয় সব লাইট।
রেস্তোরাঁয় তখন কর্মরত ছিলেন প্রায় ৭০ জন কর্মী। এছাড়া দেশি-বিদেশি নাগরিকসহ আরও প্রায় ৫০ জনের উপস্থিতি ছিল সেখানে।
গত বছরের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টা, হলি আর্টিজানের এই জঙ্গি তান্ডব দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে রক্তাক্ত এক অধ্যায় হিসেবে আলোচিত হবে তা কি কেউই জানতো?।
আর তাই হামলার আগ পর্যন্ত সবকিছুই ছিলো স্বাভাবিক।
সেদিনের সেই নারকীয় স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদের। যাদের বেশির ভাগই আর্টিজান রেস্তোরাঁর কর্মী।
সমীর বাড়ৈ জঙ্গি তান্ডবের সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন শৌচাগারে। অবরুদ্ধ ১২ ঘন্টার প্রতিটি সেকেন্ডেই যেন মৃত্যু কড়া নাড়ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী আকাশ খান আর শাহরিয়ার সেদিনের স্মৃতি ভুলে থাকার চেষ্টা করছেন। চোখ বন্ধ করলেই এখনও তারা দেখতে পান জঙ্গিদের ছায়া, শুনতে পান পায়ের আওয়াজ।
হামলা প্রতিরোধের সময় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। স্মৃতিচারণ করলেন তিনিও।
হলি আর্টিজানের জিম্মি সংকটের অবসান হয় ঘটনার পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অপারেশন থান্ডার বোল্টে। ১২ মিনিটের ওই অভিযানের আগে ১২ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি আর যেন কখনই ফিরে না আসে।
ঘটনার প্রায় চার মাস পর গত বছরের নভেম্বরে রেস্তোরাঁটি মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। তবে সেখানে এখন আর রেস্তোরা নেই।
এ বছরের জানুয়ারিতে গুলশানেরই অন্য জায়গায় নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে হলি আর্টিজান।
আরও পড়ুন