হিজড়াকে আগুনে জ্বলসে দেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
প্রকাশিত : ১০:১৫, ১৯ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১০:২১, ১৯ মার্চ ২০২২
হিজড়া চুমকি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নিজসেনবাগ গ্রামে এক বাড়িতে গিয়ে টাকা দাবির সময় চুমকি (২৫) নামের এক হিজড়াকে আগুনে জ্বলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ।
থানায় এসে শুক্রবার পুলিশকে হামলার বিষয়টি অবগত করেন হিজড়ারা।
জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে নিজসেনবাগ গ্রামের মধ্যপাড়া রাজ্জাক পুলিশের বাড়িতে যায় চুমকি ও সোহাগি। ওই বাড়ির জহিরুল ইসলাম নয়নের শিশুর জন্ম উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান চলছিল। দুই হিজড়া তাদের বাড়িতে গিয়ে টাকা দাবি করেন।
হিজড়া চুমকি অভিযোগ করে বলেন, “গত বুধবার দুপুরে আমরা জহিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ৫শ’ টাকা দাবি করলে তারা আমাদের তিনশ’ টাকা দেয়। আমরা আরও ২শ’ টাকা দাবি করলে তারা টাকা না দিয়ে উল্টো আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আমি পুকুরে পড়ে আগুন নিভাতে চেষ্টা করি।”
আহত চুমকি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
তবে জহিরুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ১১ মার্চ শুক্রবার দুপুরে তাদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর গত বুধবার হিজড়া চুমকি ও তার সহযোগী সোহাগি তাদের বাড়িতে গিয়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এসময় ওই বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় নারীরা হিজড়াদের ৪শ’ টাকা দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই দুই হিজড়া তাদের দাবিকৃত ৫ হাজার টাকার জন্য তাদের সাথে বাকবিতর্ক শুরু করে।”
“এক পর্যায়ে হিজড়া চুমকি ঘরের লোকজনকে ভয় দেখানোর জন্য নিজের শরীরে আগুন লাগানোর হুমকি দিয়ে রান্নার চুলা থেকে আগুন নিয়ে নিজের শরীরের কাছে নেয়। এসময় অসাবধানতাবসত তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে বাড়ির লোকজন এসে তাদের ১৫শ’ টাকা দিলে চলে যায় তারা” বলেন জহিরুল।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবা জহিরুল ইসলাম, তার দুই ফুফু আয়েশা বেগম ও বিবি রহিমা বেগমকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনায় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।
এএইচ/
আরও পড়ুন