ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

এই দিনে রংপুর ক্যান্টনম্যান্ট ঘেরাও করে মুক্তিকামি মানুষ

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০৯, ২৮ মার্চ ২০২২

Ekushey Television Ltd.

১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ হাজার হাজার মুক্তিকামি জনতা লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যান্টমনম্যান্ট ঘেরাও করতে আসে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ। 

এসময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ক্যান্টনম্যান্ট থেকে গুলি ছুঁড়লে শত শত মানুষ নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে অনেকে। পরে গভীর রাতে ক্যান্টনম্যান্টের পার্শ্বে ঘাঘট নদীর ধারে প্রায় পাঁচ শতাধিক লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। 

যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিলেন রংপুরের মানুষ, পরবর্তী নয় মাস পাকসেনাদের বিরুদ্ধে তা লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শহীদ পরিবারগুলো পায়নি কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কিংবা কোন সহায়তা। 

ক্যান্টনম্যান্ট ঘেরাও আন্দোলনে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, “সন্ধ্যার পর তীর-ধনুক-বল্লম নিয়ে তারা চারদিক থেকে আক্রমণ চালায়। তখন ক্যান্টমেন্টের ভেতর থেকে পাক আর্মিরা নির্বিচারে মেশিনগানের গুলিতে প্রায় ৪শ’র মতো মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করে।”

রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, “আমরা তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যাই, কেউ কেউ নদীর তীরের গর্তে পালিয়ে ছিল। গাড়ী থেকে খান সেনারা নেমে এসে সবাইকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করে- এই দৃশ্য আমরা অনেকেই দূর থেকে দেখেছি।”

আজ পর্যন্ত তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পায়টি স্বীকৃতি এবং সেই সব শহীদরা গণশহীদের মর্যাদাও পাননি। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি