ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

টিসিবির কার্ড বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১২:৩১, ৩০ মার্চ ২০২২

টিসিবির পারিবারিক কার্ড বরাদ্দ নিয়ে ময়মনসিংহ ও রংপুর নগর এলাকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চারতলা ভবনের মালিক ও স্বচ্ছল পরিবার একাধিক কার্ড পেলেও অনেক অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষ পাননি একটিও। সিটি কর্পোরেশন বলছে, বরাদ্দ কম ও বিষয়টি নতুন হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। 

ময়মনসিংহ নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আকুয়া মাদ্রাসা কোয়াটার এলাকার চারতলা ভবনের মালিক আব্দুল জব্বার। তার পরিবার টিসিবির চারটি কার্ড পেয়েছে।

আব্দুল জব্বার জানান, “এটা সরকার দিয়েছে, তাই আমরা নিয়েছি।”

শুধু ৬ নম্বর ওয়ার্ডেই নয়, ১৬ নম্বরসহ বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই অব্যবস্থাপনার এমন অভিযোগ।

নিম্নআয়ের মানুষ জানান, “কাজ শেষে কার্ডের জন্য গিয়েছিলাম। তারা বলছে কার্ড জমা হয়ে গেছে, এখন আর কার্ড আসেনি। আরেকবার আসলে দেওয়া হবে।”

কাউন্সিলররা অভিযোগ অস্বীকার করলেও ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, “আব্দুল জব্বার প্রকৃত অর্থে একজন দর্জি এবং কিছুদিন আগে স্ট্রোক করেছে। স্ট্রোক করার পর থেকে সে বেকার।”

১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান বলেন, “এই জায়গায় গাড়তি তেমনএকটা নেই, সামান্য কিছু থাকতে পারে। যারা প্রাপ্য তাদেরকে আমরা দিয়েছি।”

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসিফ হোসেন বলেন, “এখন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

এমন দুর্নীতি সরকারের উদ্যোগকে ব্যাহত করবে বলে মনে করছেন জেলা মানবাধিকার নেতারা।

ময়মনসিংহ জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান বলেন, “সরকারের যে উদ্দেশ্য নিম্নআয়ের মানুষের টিসিবির পণ্যের মাধ্যমে তাদের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে, সেটা তো হচ্ছে না।”

টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা তৈরি ও কার্ড প্রদান নিয়ে রংপুরেও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। অবস্থাসম্পন্ন সচ্ছল পরিবার কার্ড পেলেও বেশিরভাগ সম্বলহীন দুস্থ পরিবার তা পায়নি।

সম্বলহীন মানুষ জানান, “দিন এনে দিন খাই, আমরা এখনও টিসিবির কার্ড কেন পাইনি। বড়লোকেরা পেয়েছে।”

পর্যাপ্ত কার্ডের অভাবে এমনটা হয়েছে, বলছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।

২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “৫ হাজার বরাদ্দ হলে মোটামুটি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রিকোভারি করতে পারতাম। যেহেতু আমরা ৩ হাজার ১৯২টি কার্ড পেয়েছি, এর মধ্যে যতদূর সম্ভব নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”

তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বঞ্চিত দুস্থ পরিবারগুলোর।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি