ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১৫৩৫ রোহিঙ্গা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:০১, ৩১ মার্চ ২০২২

ভাসানচরে পৌঁছানোর পর জাহাজ  থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের

ভাসানচরে পৌঁছানোর পর জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের

ত্রয়োদশ দফার দ্বিতীয়াংশে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১ হাজার ৫৩৫ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে ‌দাঁড়াল ২৯ হাজার ১১৬ জনে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ১৫৩৫ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে ৭৩, ৭৪ ও ৮৬নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য তাদেরকে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।

ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি ১২৮৭ জন, একাদশ দফায় ১ হাজার ৬৫৫ জন, দ্বাদশ দফায় ২৯৮২ জন ও ত্রয়োদশ দফায় প্রথম অংশে ১৯৯৭ জনকে ভাসানচরে পাঠান হয়।

এছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি