ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

তুচ্ছ ঘটনায় র‌্যাব সদস্য ও যুবকের মধ্যে হাতাহাতি

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৪৪, ২ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৩:৪৭, ২ এপ্রিল ২০২২

হাতাহাতি ঘটনার পর যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে সাদা পোশাকের র‌্যাব সদস্যরা

হাতাহাতি ঘটনার পর যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে সাদা পোশাকের র‌্যাব সদস্যরা

মিরসরাইয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বসাকে কেন্দ্র করে র‌্যাব-৭ এর সদস্যদের সাথে স্থানীয় যুবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম মনা নামে ওই যুবককে আটক করে র‌্যাব।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে আল নূর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী জাহেদ হাসান রনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের আল নূর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে সাদা একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ায়। এসময় মাইক্রো থেকে সিভিল ড্রেসে ৪-৫ জনের একটি দল নেমে দোকানের সামনে থাকা চেয়ার পেছনে ঠেলে পথ আগলিয়ে বসে। 

এসময় দোকানদার মো. আলমগীর তাদের পথ ছেড়ে বসতে বললে তারা ঔদ্ধত হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে তারা নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে দোকানদার আলমগীরের পূর্ণ ঠিকানা জানতে চায়। তিনি ঠিকানা বলার পর র‌্যাব সদস্যরা তা লিপিবদ্ধ করেন। 

পরে দোকানের ভেতর বসে থাকা আরও ১০-১২ জন যুবকের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম মনার ঠিকানাও তারা জানতে চায়। মনা নাম ও পরিচয় দিতে অস্বীকার করায় র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে দোকানের ভেতর থেকে বের করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নিয়ে যায়। 

বিষয়টি মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন, সাবেক ওসি মুজিবুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) ওলিউর রহমান ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক খাইরুলের চোখে পড়ে। 

ওই যুবককে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তোলার সময় র‌্যাব, পুলিশ ও উপস্থিত লোকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওলিউর রহমান জানান, “মসজিদে যাওয়ার সময় দেখি এক যুবককে কিছু লোক টেনে হিঁছড়ে মাইক্রোতে তোলার চেষ্টা করছেন। ওই যুবককে রক্ষা করতে ওসি সাহেবসহ পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করলে তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা গাড়ির ভেতর থেকে র‌্যাবের পোশাক দেখালে আমরা আর কোন পদক্ষেপ নেইনি।”

আল নূর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যুবক তৌহিদুল ইসলাম মনার কোন দোষ নেই। সে শুধু তার নাম পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাকে এভাবে মারধর করে অত্যাচার করে তুলে নেওয়া একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হবে, র‌্যাবের প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে।

র‌্যাব-৭’র উপ-পরিচালক ও কোম্পানী অধিনায়ক আব্দুল্লাহ্ আল জাবের ইমরান বলেন, শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ একজনকে আটক করা হয়। এসময় স্বাক্ষী নেওয়ার জন্য আল নূর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গেলে দোকানের ভেতর বসে থাকা তৌহিদুল ইসলাম মনা সবাইকে সাক্ষ্য দিতে নিষেধ করেন এবং র‌্যাব পরিচয় দেওয়ার পরও সে উশৃঙ্খল আচরণ করে। যা রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার শামিল। তাই তাকে আটক করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও পূর্বে কোন খারাপ কাজের রেকর্ড না থাকায় এবং ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দিবে না শর্তে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তৌহিদুল ইসলাম মনাকে মুচলেকা নিয়ে রাত ৮টায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি