পাঁচ সিন্ডিকেটের কবলে মোংলার বাজার
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ২ এপ্রিল ২০২২
রমজান আসলেই বাজার উতপ্ত করতে একদল আসাধু চক্র মাঠে নেমে পড়ে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। রমজানের আগের দিনেই মোংলায় বেগুন, শশা, কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে মোংলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩০-৪০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। ৩০-৩৫ টাকার শশা-খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, ৫০ টাকার কাঁচামরিচের দাম ৮০-১শ’ টাকা।
এছাড়া কেজিতে ১০-২০ টাকা করে দাম বেড়েছে অন্যান্য কাঁচামালেরও।
কাঁচামাল বিক্রেতা আঃ জলিল ও রফিক জানান, পাইকাররা দাম বাড়িয়েছেন তাই বেশি দামে কিনে তারাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
তবে মোংলা পৌর শহরের প্রধান বাজারে কাঁচামালের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। বাজারে মালের ঘাটতি নেই।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারদের সাথে যোগসাজসে স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্রই পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় সিন্ডিকেট চক্র ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
উপজেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য নুর আলম শেখ বলেন, “দেশের সব জায়গায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। তার প্রভাব মোংলার বাজারেও। পৌর শহরের আশপাশের বাজারগুলোতে দাম কম। সিন্ডিকেট না ভাঙ্গলে কোনভাবেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।”
সবজি চাষী ও ব্যবসায়ী গোলাম রসুল, জয়নাল ও মহাসিন আকন বলেন, মোংলা বাজারের পাঁচটি সমিতির (মাছ, মাংস, পান, মুরগী ও কাঁচা বাজার সমবায় সমিতি) সিন্ডিকেট চক্র এ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পৌর শহরের হাজার হাজার ক্রেতা সাধারণ।
জানা যায়, পাঁচ সমিতির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনের সভাপতি আফজাল ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ওরফে কসাই নজরুল ও ক্যাশিয়ার আলম ওরফে আলু আলম।
সমিতির নেতা আফজাল ফরাজী বলেন, দাম বাড়ানোর জন্য নয় কোন ব্যবসায়ী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এক হয়েছি আমরা। যদি কেউ দাম বাড়ায় আমরা তার পক্ষে থাকবো না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনের পক্ষে থাকবো বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দুই-একদিনের মধ্যে অভিযান চালানো হবে। এছাড়া প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক করা হবে। আর সিন্ডিকেট চক্রও ভাঙা হবে বলেও জানান তিনি।
আরএমএ/এএইচ/
আরও পড়ুন