ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হল বাল্য বিয়ে
প্রকাশিত : ১৩:২৫, ৩ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫২, ৩ এপ্রিল ২০২২
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গোপন সূত্রের খবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাজির হলে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন দশম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ তানিয়া আক্তার (১৫)।
শনিবার দেওড়া গ্রামে বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
সরাইলে শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মোঃ ফারুক মিয়া তার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা মোছাঃ তানিয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক করেন একই উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের আব্দুল হান্নান (২৬) সঙ্গে। কিন্তু বরযাত্রী কনের বাড়ি পৌঁছানোর আগেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফোর্সসহ হাজির হন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল।
পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন দেখেই আস্তে আস্তে গাঁ-ঢাকা দিতে থাকে বিয়ে বাড়ির লোকজন।
বাল্য বিয়ের আয়োজন করার দায়ে ঘটনাস্থল থেকে তানিয়ার পিতা ফারুক মিয়াকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।
এরপর ‘১৮ বছরের আগে তার মেয়ের বিয়ে দিবেনা’ এই শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তারের পিতা ফারুক মিয়া।
আরএমএ/এএইচ/
আরও পড়ুন