ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

তুলার আবাদে কৃষকের চোখে-মুখে আশার আলো (ভিডিও)

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১২, ৩ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৫:১৪, ৩ এপ্রিল ২০২২

অনুর্বর জমি পড়েছিল ধু ধু প্রান্তর হয়ে। চাষের অনুপযোগী হওয়ায় কৃষকের আনাগোনাও ছিল না। সেই মাঠই এখন ভরে উঠেছে সাদা তুলায়। অনাবাদী চরাঞ্চলে তুলার আবাদ আশার আলো ফুটিয়েছে কৃষকের চোখে-মুখে। 

শুভ্র তুলায় ভরে উঠেছে জামালপুর জেলার বিস্তীর্ণ চর। আবহাওয়ার অনুকূলতা, ফলন ভালো, ন্যায্যমূল্য পাওয়া আর লাভজনক হওয়ায় মাঠে মাঠে চাষ হচ্ছে তুলা। দিন দিন তুলাচাষে আগ্রহী প্রান্তিক চাষিরা। 

তুলাচাষিরা বলছেন, “গত বছরের তুলনায় এবার ফলনে খুবই লাভবান হচ্ছি। এতে আগামীতে তুলা চাষে আগ্রহ বাড়বে।”

তুলা উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-দিনমজুররা।

শ্রমিকরা জানান, “তুলা তুলে দিচ্ছি, আড়াইশ’ টাকা করে বেতন পাচ্ছি। জীবন যাপন ভালই চলছে।”

তুলা উৎপাদনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সার আর কীটনাশকসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়ার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা।

জামালপুরের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: সালাহউদ্দিন বলেন, “বীজ বপন থেকে শুরু করে তুলা ওঠানোর শেষ পর্যন্ত আমরা তাদেরকে সম্পূর্ণ মনিটরিং করি এবং তাদেরকে কারিগরি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি।”

কৃষকদের আগ্রহী করাসহ অন্য সুবিধা দিতে পারলে দেশের তুলায়ই মিটবে চাহিদা, বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো: আখতারুজ্জামান বলেন, “চর এলাকায় অন্য ফসল ভাল হয় না কিন্তু তুলা ফসল খুব ভাল হয়ে থাকে। এই এলাকাগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটাতে পারি।”

জামালপুরে চলতি মৌসুমে ২শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদে কৃষকের হাতে থাকবে ৫০ হাজার টাকা, আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি