ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইউএনও’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:০৬, ৪ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১১:০৮, ৪ এপ্রিল ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেনের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ করে ৪০ হাজার টাকা পাঠিয়েও দিয়েছেন।

এ ঘটনায় রোববার বিকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। 

ইউএনও ইয়ামিন হোসেন রোববার দুপুরে ‘উপজেলা প্রশাসন সদর’ নামের ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মোবাইল নম্বর (০১৭৮২৮৩৬৩৬) ক্লোন হয়েছে। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ক্লোন করা নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। কাউকে কোনো অর্থ না দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার বেলা সোয়া ১১টা থেকে বেলা দুটার মধ্যে সদর উপজেলার রামরাইল, সাদেকপুর, সুহিলপুর ও মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে ইউএনও’র ক্লোন করা নম্বর থেকে ফোন করে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য টাকা দিতে বলা হয়। 

এরই মধ্যে রামরাইলের ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সেলিম বিকাশে ৪০ হাজার টাকা পাঠান। 

পরে তিনিসহ বাকি জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি ইউএনওকে জানান। 

এ ব্যাপারে রামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সেলিম বলেন, ইউএনও স্যারের নম্বর থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় আমাকে ফোন করে অনুষ্ঠানের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। পরে আমি বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে বিকাশ করে ৪০ হাজার টাকা পাঠাই। পরে আবার ফোন করে ১ লাখ টাকা চায়। এতে আমার সন্দেহ হয়।

কেন টাকা দিলেন এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার অনেক সময় অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন। তখন আমরা অংশগ্রহণ করি। 

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন বলেন, “রোববার দুপুরে ক্লোন করা নম্বর থেকে রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সেলিমের কাছে আমার নাম করে ৪০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। বিকাশের মাধ্যমে তিনি ৪০ হাজার টাকা পাঠিয়েও দেন। এছাড়া সদর উপজেলার মজলিশপুর, সাদেকপুর ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছেও ফোন করে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা দেয়ার কথা বলা হয়।”

তিনি বলেন, “এ ঘটনায় আমি বিব্রত। আমার নম্বর ক্লোন করে কলগুলো করা হয়েছে বিষয়টি জানার পর সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছি। এর আগেও আমার নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেছি।”

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি