মাটির বদলে বালু দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, মরণফাঁদের আশঙ্কা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১১, ৪ এপ্রিল ২০২২
মাটি নয়, বালু দিয়ে সংস্কার চলছে ৫৫ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধের। অবৈধ ড্রেজারে পাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে এসব বালু তুলে আনায় তৈরি হচ্ছে বড় বড় গর্ত ও জলাশয়। দুর্যোগ ও জলোছ্বাসে বাঁধ ভেঙে মরণফাঁদে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া হয়ে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে খাজুরা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সংস্কারের দায়িত্বে ছিল চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিকো।
স্থানীয়রা জানান, “মাটি দিয়ে তৈরি না করে রাস্তা হচ্ছে বালু দিয়ে। বর্ষা আসলে বালু তো চলে যাবে। আশে থেকে বালু তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে কি লাভ, বৃষ্টি বা জোয়ারের পানিতে সেই বালু তো নেমে আগের মত হয়ে যাবে।”
প্রকল্পের কার্যাদেশে বাঁধের অবকাঠামো এঁটেল মাটিতে হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে চলছে ৮০ শতাংশ বালু আর ২০ শতাংশ কাঁদা মাটি দিয়ে।
এলাকার মানুষ জানান, “রাতে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে।”
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি বলছেন, কাজে অনিয়ম হলে বিল পাবে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপকুলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকৌশলী এ কে এম মজিবুর রহমান বলেন, “অবশ্যই অবশ্যই তারা বিল পাবে না, তাদেরকে চিঠি দেওয়া আছে।”
বেড়িবাঁধ সংস্কারে অনিয়ম করলে ব্যবস্থার আশ্বাস মিলেছে সংশ্লিষ্টদের কাছেও।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, “আমরা কিছু জায়গায় অভিযোগ পেয়েছি যে ধুয়াশা-লতাচাপলি এই এলাকাগুলোয় বালু দিয়ে কাজ করা হচ্ছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেই সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেই। ভবিষ্যতে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের কোন বিল দেওয়া হবে না।”
দুই উপজেলার তিনটি পোল্ডারে প্রায় ৮০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে দুইশ’ ৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৫ টাকা। প্রকল্পের কাজ গত বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এক বছর।
এএইচ/
আরও পড়ুন