তীব্র লোডশেডিং, ক্ষোভ বাড়ছে রাজশাহীতে
প্রকাশিত : ১৪:০০, ৬ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহীতে হঠাৎ বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর প্রতিটি এলাকায় এক থেকে দুই বার আবার কোন কোন এলাকায় তিন বারও হচ্ছে লোডশেডিং। একেতো রমজান তার ওপর গরম। এর মাঝে বিদ্যুতের এমন আসা-যাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের (নেসকো) তথ্য মতে, রাজশাহীতে বিদ্যুতের চাহিদার অনুপাতে ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এ কারণে লোড ম্যানেজমেন্ট করতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গরমের জন্য বাড়িতে বাড়িতে শীতাতপ যন্ত্র (এসি) চলছে। সন্ধ্যায় পর তারাবিরসহ নামাজের জন্য মসজিদগুলোতেও চালানো হচ্ছে এসি। আবার খরা মৌসুম হওয়ায় সেচ কাজেও বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এছাড়া সন্ধ্যার পর হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জে বসানো হয়। এসব কারণে বর্তমানে বিদ্যুতের ঘাটতি বেড়েছে।
রাজশাহী নগরের ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বেগম জানান, রোজা শুরুর পর হঠাৎ করেই বিদ্যুতের সমস্যা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চার বার বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘন্টায় আসে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাদিরগঞ্জ এলাকার এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন ইফতারের পর প্রায় এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এটা যন্ত্রনাদায়ক। একইভাবে ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষের তিনবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
নেসকোর তথ্য মতে, রাজশাহী জেলায় চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের ঘাটতি প্রায় ৩৬ শতাংশ। আর রাজশাহী বিভাগে এই ঘাটতি পরিমাণ ১৫ শতাংশ। বিদ্যুত ঘাটতি সামাল দিতে নেসকো কর্তৃপক্ষকে দিনের বিভিন্ন সময় এলাকা ভেদে লোড ম্যানেজম্যান্ট করতে হচ্ছে।
নেসকোর বিতরণ অঞ্চল রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। এই চাহিদার বিপরীতে নেসকো বিদ্যুতের সরবরাহ পাচ্ছে মাত্র ৬৩ মেগাওয়াট। মহানগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে বগুড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিভাগের মোট ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলেছে ৩৯০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্ম মৌসুমে সরবরাহের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় লোড ম্যানেজম্যান্ট করতে হচ্ছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন