খাস জমি উদ্ধারে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলা, আহত ৩
প্রকাশিত : ১১:০০, ৭ এপ্রিল ২০২২
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার ঘাট এলাকায় জেগে ওঠা চরে খাস জমি জবর দখল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছেন ভূমি অফিসের ৩ কর্মচারী।
বুধবার দুপুরে মুছাপুর ৭নং ওয়ার্ডে ক্লোজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন- রামপুর ইউনিয়নের বামনী ভূমি অফিসের সহায়ক আবদুল জব্বার (৩৩), মুছাপুর ভূমি অফিসের সহায়ক মিজানুর রহমান (৩৫) ু চরকাঁকড়া ভূমি অফিসের সহায়ক নুর নবী (৪০)।
আহতদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুছাপুর ক্লোজার সংলগ্ন জেগে উঠা চরে খাস জমিতে ভূমিদস্যুরা ভেকু মেশিন দিয়ে ঘরের ভিটি তৈরি করে জবর দখল করছিল। এ স্থানে প্রায় ১৪শ’ একর জমিতে কথিত ৬শ’ ভূমিহীন পরিবারকে টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ভূমিদস্যুরা ঘর নির্মাণ করে আসছিল।
সংবাদ পেয়ে বুধবার দুপুরে দখলকৃত ওই সরকারি খাস জমি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গেলে ভূমিদস্যু মাঈন উদ্দিনের, বকুল, ডালিম, জালাল, চাঁন মিয়া, সাকিব, সেলিম, সবুজ, রুবেলের নেতৃত্বে এক-দেড়শ’ সদস্য দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় প্রাণের ভয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিন ও কর্তব্যরত পুলিশ স্থান ত্যাগ করলে উল্লেখিত তিন ভূমি অফিস কর্মচারী হামলার শিকার হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছলে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়। এদিকে, প্রশাসন ও পুলিশ চলে গেলে ভূমিদস্যুরা পুনঃরায় ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও এসিল্যান্ডের ওপর হামলার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি তিন ভূমি অফিস কর্মচারী আহতের ঘটনা স্বীকার করেছেন।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন