গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে এসআইকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১২:০৮, ৭ এপ্রিল ২০২২
কাঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পুলিশের এসআইকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে এসআই আলমগীর হোসেনকে ক্যাম্পে দেখা যায়নি। জানা গেছে তিনি অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাহিন হাওলাদার জানান, তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাথে ভুক্তভুগী ওই নারীর ভগ্নিপতির একটি চায়ের দোকান আছে। সেখানেই পরিচয় হয় এসআই আলমগীরের সাথে। গত সোমবার রাতে এসআই আলমগীর সেই নারীর বোনের বাড়িতে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়।
এদিকে, পুলিশের ভয়ে ঘটনা শিকার হওয়া নারীকে পরিবারের সদস্যরা সাময়িক আড়ালে রাখেন। সেই সুযোগে পুলিশও ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করলে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানাজানি হয়নি।
তবে বুধবার ভিকটিম সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত জানালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ওসি মুরাদ আলী জানান, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে গৃহবধূ মাকসুদা আক্তার নিপা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে গৃহবধূ জানায়, তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় কুপিয়ে আহত করে আলমগীরের মোবাইল রেখে দেয়া হয়েছে। যদিও মোবাইলটি সে দেখাতে পারেননি।
ওসি মুরাদ আলী আরও বলেন, ওই রাতে ভুক্তভোগিকে বলেছি সকালে ঝালকাঠি গিয়ে মেডিক্যাল করিয়ে কাঠালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করতে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সে কোন অভিযোগ করেননি। ঘটনার পর থেকে এসআই আলমগীরের সাথে দেখা বা কথা হয়নি বলেও জানান ওসি।
এ প্রসঙ্গে কাঠালিয়া থানার তারাবুনিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, “আমি এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। কিন্তু আমি ছুটি শেষে মঙ্গলবার ক্যাম্পে ফেরার কারণে বিস্তারিত জানিনা। তবে ক্যাম্পে এসআই আলমগীরকে পাওয়া যায়নি।”
এএইচ/
আরও পড়ুন