ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসন্তি পূজায় মণ্ডপে ভক্তদের ভিড়
প্রকাশিত : ২১:৫১, ৮ এপ্রিল ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বাসন্তি পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল ভক্তদের ভিড়। শুক্রবার দুপুরে মায়ের সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তরা মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পন করেন।
পৌর এলাকার আনন্দময়ী কালীবাড়ি, মেলাঘাট, কাল ভৈরব মন্দির, কান্দিপাড়া রঘুনাথ জিউর মন্দিরসহ বিভিন্ন মণ্ডপে বাসন্তি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী বাসন্তি পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
মহাসপ্তমীতে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা, চক্ষুদান, ঘটস্থাপন সহ ষোড়শ উপাচারে পূজা করা হয়। অঞ্জলি দেয়ার সময় ভক্তরা করোনা মহামারিসহ সকল রোগ-বালাই থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেন।
পূজা মণ্ডপে ভক্ত জয়া ঘোষ জানান, নিজের ও পরিবারের সমৃদ্ধির পাশাপাশি চলমান মহামারি করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছি। তিনি যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন, সকলের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দেয় সেই প্রার্থনা করেছি।
সৌরভ দাস নামে আরেক ভক্ত জানান, মা সকল ভক্তের মাঝে বিরাজমান। তিনি পরম মমতাময়ী। মায়ের রাতুল চরণে প্রার্থনা করেছি তিনি সকলকে যেন ভাল রাখেন সুস্থ রাখেন।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি পূজা মণ্ডপের পুরোহিত কৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপূজা হল বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী বাংলার প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন করেন রাজা সুরথ। তিনি রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য বসন্তকালে দেবি দূর্গাকে বিশেষ উপাচারে পূজা করে রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। এর পর থেকে ভক্তরা বাসন্তি পূজা করে আসছে।
অন্যদিকে ত্রেতাযুগে প্রভু রামচন্দ্র রাবণকে পরাজিত করার জন্যে দেবি দূর্গার আরাধনা করে পূজা করেছিলেন। এরপর থেকে শরৎকালে দেবীর অকাল বোধন শারদীয় দুর্গোৎসব হয়ে আসছে।
কেআই//
আরও পড়ুন