ঢাকা, রবিবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের অষ্টমী স্নান শুরু 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২১, ৯ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৪:২৩, ৯ এপ্রিল ২০২২

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দে ব্রক্ষ্মপুত্র নদে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব। পাপ মুক্তির পূণ্য বাসনায় কয়েক লাখ তীর্থযাত্রী অংশ নিচ্ছেন এ স্নানোৎসবে। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকায় এবার পূণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। শান্তিপূর্নভাবে স্নানোৎসব সম্পন্ন করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

শুক্রবার রাত ৯টা ১৩ মিনিটে এই স্নানোৎসবের লগ্ন শুরু হয়। আর শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে শেষ হবে এই উৎসব। আর এই পবিত্র উৎসবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রেমতলা, অন্নপূর্না, রাজঘাটসহ ১৬ টি ঘাটে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে স্নানে অংশ নেন। 

এখানে আসা পূণ্যার্থীরাও জানিয়েছেন এবার নির্বিঘ্নে ভাবেই উদযাপন করতে পারছে এই পবিত্র উৎসব। বিভিন্ন ঘাটে কোন সমস্যা ছাড়াই করতে পারছেন স্নান।

এ বিষয়ে ঘাটের একজন পুরোহিত জানান যে, “হে সমহাভাগ ব্রম্মপুত্র হে লৌহিত্য তুমি আমার পাপ হরন কর’ এ মন্ত্র উচ্চারণে স্নান করে পাপ মোচনের তীর্থযাত্রী পুন্যলাভের আশায় স্নান করে থাকেন। এখানে স্নান করলে পাপ মুচন শেষে পূর্ণতা লাভ হয়।”

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ব্রক্ষ্মপুত্র নদে হিন্দুধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দ। হিন্দু দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন। লাঙ্গল দিয়ে চষে হিমালয় থেকে এ পানিকে ব্রক্ষ্মপুত্র নদরুপে নামিয়ে আনেন সমভূমিতে। পৌরাণিক এ কাহিনীকে স্মরন করে প্রতিবছর চৈত্রমাসে নির্ধারিত দিনে দেশ বিদেশের লাখ লাখ তীর্থযাত্রী পূণ্যলাভের আশায় জড়ো হন। 

তবে করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিলো। করোনা মহামারি কমে আসায় এ বছর বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে তাই এবার পূণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়েছে অনেক। এবারের স্নানোৎসব প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্নান উৎসব কমিটির সমন্বয়ক।

পুলিশ সুপার  জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, “স্নান উৎসব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ও দূর্ঘটনা এড়াতে বা তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারসহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছে। উপর থেকে নজর রাখতে ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।”

এছাড়াও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় শুক্রবার দুপুর থেকে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ঢল নামতে শুরু করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। ধীরে ধীরে ভরপুর হয়ে উঠে নদীর তীর। 

জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯.১১টা থেকে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট অষ্টমী প্রহর থাকলেও স্নানের উত্তম সময় ধরা হয়েছে শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে ১০টা ৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড পর্যন্ত। প্রায় ৩ লাখ পূণ্যার্থীর পদভারে মূখরিত হয়ে উঠেছিল চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা।

উৎসবে আসা অনেকে জানান, এবারের অবস্থা কিছুটা ভালো হয়েছে তবে স্নানের জন্য নিদিষ্ট কোন ঘাট না থাকায় কিছুটা সমস্যাও হয়েছে এবং পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা ছিল খুব নাজুক।  
আরএমএ/এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি