মঙ্গল শোভাযাত্রার সূতিকাগার যশোর চারুপীঠ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫৪, ১১ এপ্রিল ২০২২
দুই বছর পর উৎসবে মিলিত হওয়ার উচ্ছ্বাসে বর্ষবরণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে যশোরে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মহড়ায় চারদিকে যেমন উৎসব আমেজ, তেমনি মঙ্গল শোভাযাত্রার শোভাবর্ধনে চলছে শিল্পীদের প্রস্তুতি।
প্রকৃতিতে গাছে গাছে নতুন সবুজ পাতা। বাতাসে বর্ষবরণের আবাহন।
বাংলা বর্ষবরণে যশোরের ঐতিহ্য চার দশকের বেশি সময়ের। এটি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সম্মিলিত উৎসব। করোনায় গত দুই বছর নববর্ষের উৎসব ছিল গৃহবন্দী। তাই এ বছর যেন প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে সংস্কৃতি অঙ্গণে।
যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু বলেন, “এ বছর উৎসবের মধ্য দিয়ে নববর্ষের বর্ণিল যে আয়োজন তা সফলতা পাবে।”
গত ৪৮ বছর ধরে যশোরের পৌর উদ্যানে প্রভাতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে উদীচী। পরিবার-পরিজন নিয়ে নতুন পোষাকে, নতুন সাজে সেই আয়োজনে শামিল হয় হাজারো মানুষ।
সংস্কৃতিপ্রেমিরা জানান, “যশোরে সাংস্কৃতিক চর্চা দীর্ঘদিনের এবং উদীচী তার অগ্রপথে। পহেলা বৈশাখ বা বাঙালি সংস্কৃতি পারে আমাদেরকে একত্রিত করতে।”
দেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা হয় ১৯৮৫ সালে যশোরে। সেই সময়ে ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাহবুব জামাল শামীম দুই সহপাঠীকে নিয়ে যশোরে প্রতিষ্ঠা করেন চারুপীঠ। এই প্রতিষ্ঠানই মঙ্গল শোভাযাত্রার সূতিকাগার।
যশোর চারুপীঠের অধ্যক্ষ মাহবুব জামালা শামীম বলেন, “যশোহর এক মহাউৎসবে রূপান্তরিত হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন এটাকে নিয়ে যাই তখন এর অনেক বেশি গুরুত্ব বেড়ে যায়।”
পবিত্র রমজানের কারণে সকল কর্মসূচি দিনের মধ্যেই শেষ করতে চায় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। তবে বাদ থাকছে না বর্ষবরণের কোন কর্মসূচিই।
সভাপতি, সুকুমার দাস বলেন, “মূলত রমজানের কারণে মূলত বিকালের মধ্যেই অনুষ্ঠান করবো।”
নতুন বছরে নতুন উদ্দীপনায় জীবন রাঙাতে প্রহর গুণছেন যশোরের সংস্কৃতি প্রেমীরা। সকলে সুর বেঁধেছেন নতুন বছর, নতুন গান, স্বাগত ১৪২৯।
এএইচ/
আরও পড়ুন