মৌমাছির সংকটে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে শঙ্কা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:০৪, ১২ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৪:১৯, ১২ এপ্রিল ২০২২
মৌমাছির সংকটে পরাগায়ন পর্যাপ্ত না হওয়ায় পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে লোকসানের শঙ্কায় রাজবাড়ীর চাষিরা। কৃষি বিভাগের কোনো সহযোগিতা ও পরামর্শ মিলছে না বলেও অভিযোগ তাদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন কর্মকর্তারা।
পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দির ফসলি মাঠজুড়ে সাদা ফুলের সমারোহ। কৃষকরা ওই ফুলকে কদম ফুল বা কালো সোনা বলে ডাকলেও তা আসলে পেঁয়াজবীজ। পেঁয়াজের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভজনক এ ফসল ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এ অঞ্চলে।
এ বছর পেঁয়াজবীজের ফুল ভালো হলেও পরাগায়ন না হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে। মৌমাছির সংকটেই পরাগায়ন ঘটছে না বলে জানান বীজ উৎপাদনকারী চাষিরা।
চাষিরা জানান, “বৃষ্টিতে এবার খুব ক্ষতি হয়েছে। ফুল ফুটে গেছে কিন্তু মৌমাছি দেখা নাই। এ কারণে ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে এবং কাল হয়ে যাচ্ছে।”
হতাশ চাষিরা কৃষি বিভাগের কাছে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চান।
এক পেঁয়াজ চাষি বলেন, “এককেজি দানার দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। সেই দানাটা এবার হচ্ছে না।”
এ বছর জেলায় ৯৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে জানায় কৃষিবিভাগ, যা গত বছরের চেয়ে বেশি।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম সহীদ নূর আকবর বলেন, “এবার রেণু শুষ্ক, তাতে মৌমাছির আকর্ষণ কম। পেঁয়াজ এবছর আবাদ হয়েছে ১৯৫ হেক্টর জমিতে। গতবছর হয়েছিল ১৭৭ হেক্টরে।”
লাভজনক পেঁয়াজবীজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ ও চাষিদের সমন্বিত পদক্ষেপ চান কৃষি বিশেষজ্ঞরাও।
এএইচ/
আরও পড়ুন