ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে আবাদী জমি
প্রকাশিত : ১৫:২৭, ১৬ এপ্রিল ২০২২
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে গেছে কৃষকের প্রায় ১০ একর আবাদী জমি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এমনটা হয়েছে বলে দাবী করছেন ইটভাটায় দায়িত্বরতরা।
এদিকে সরেজমিন দেখে কৃষি অফিস বলছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় বরং ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের তাপে পুড়ে গেছে আবাদী জমি। অপরদিকে প্রায় প্রতি বছরই এমন ঘটনা ঘটলেও দায়ভার নিতে চায় না ইটভাটার মালিকরা।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ী কিশামতবানু এলাকায় অবস্থিত ওয়ারেস ব্রিকস কোম্পানির ইটভাটার চুল্লি থেকে বের হওয়া গ্যাসের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবী কৃষকদের।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইটভাটা থেকে যত দূর চোখ যায়, প্রায় সব জমির ধান অনেকটা সাদা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ উঠতি ফসলের এ অবস্থায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ইটভাটার গ্যাসের কারণে ক্ষতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইটভাটার ম্যানেজার জাহিদ হোসেন বলেন, “এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুড়ে গেছে। আর যদি গ্যাসেও পুড়ে যায় তাহলে সেটা আমরা আর কৃষকরা বুঝবো।”
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, “১৬ শতাংশ ও ২৪ শতাংশ জমির আবাদ ইটভাটার কারণে পুড়ে গেছে। এছাড়া ওহিজল, রাজ্জাক, একরামুল সহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন কৃষক এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। শেষ সম্বলটুকু দিয়ে আবাদ করা কৃষকেরা এভাবে তীরে এসে নৌকা ডোবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।”
উপ সহকারী কৃষি অফিসার মাইদুল ইসলাম প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৭-১০একর আবাদী জমির ফসলের ক্ষতির আশংকা রয়েছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করব।”
এদিকে গ্যাসের কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ইটভাটা মালিক ওয়ারেস আলী।
আরএমএ/এমএম/
আরও পড়ুন