ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

জলকেলিতে শেষ হলো রাঙ্গামাটির বৈসাবি উৎসব

রাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:২৮, ১৬ এপ্রিল ২০২২

জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে শেষ হলো বিভিন্নজাতি সত্তার বৈসাবি উৎসব। বাংলা নববর্ষ পালনের পাশাপাশি নিজেদের ঐতিহ্যগত প্রথা, সামাজিক আচার-আচারণের মাধ্যমে পুরনো বছরের দুঃখ, কষ্ট ও বেদনাকে ভুলে গিয়ে একে অন্যকে পানি ছিটিয়ে শুদ্ধ করে নিলেন মারমা তরুণ-তরুণীরা।

মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসস)  আয়োজনে আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পিতলের ধর্মীয় ঘণ্টা বাজিয়ে উৎসবের সূচনা করেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার (এমপি)। 

কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদান করে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা ফিতা কেটে জলকেলির শুভ উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিরা মারমা তরুণ-তরুণীদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সূচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে মারমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। করোনার কারণে গত দুই বছর জলকেলি উৎসব না হওয়ায় এ বছর উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মারমা সম্প্রদায়। বছরের সব দুঃখ, কষ্ট, ধুয়ে-মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংগ্রাই জল উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। উৎসবের এই রেশ থেকে বাদ যায়নি বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষেরা। তাদের উপস্থিতিতে কানায়-কানায় ভরে ওঠে বেতবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ।

অনুষ্ঠানকে আনন্দঘন করতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসস) সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তারিকুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জোন কমান্ডার  আশিকুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা প্রমুখ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে স্থানভেদে পাঁচদিন পর্যন্ত উৎসব হয়ে থাকে  ১২ এপ্রিল 'ফুলবিজুর' মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন চাকমা সম্প্রদায়। এ উৎসবকে চাকমা সম্প্রদায় বলে 'বিজু', ত্রিপুরারা বলে 'বৈসু'। আর মারমারা বলে সাংগ্রাই। বৈসু, সাংগ্রাই ও বিজু মিলে সংক্ষেপে এই উৎসবটির নাম হয়েছে 'বৈসাবি'।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি