ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষককে অব্যাহতি
প্রকাশিত : ০৮:৫২, ১৭ এপ্রিল ২০২২

ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস্)’র দায়িত্ব থেকে শিক্ষক ডা. রফিকুল আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ বিভাগের মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করতেন সিরাজগঞ্জ ম্যাটসের হোস্টেল সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার কাম শিক্ষক ডা. কাজী রফিকুল আলম।
তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হলে ছাত্রীদের বিভিন্ন কায়দায় যৌন হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয় করতেন তিনি। এসব ঘটনার প্রতিকার না পেয়ে অনেকেই প্রতিষ্ঠান ছেড়েও চলে গেছেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ একজন নারী হয়েও বদমেজাজি ওই শিক্ষকের ভয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে সাহস পান না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ওই শিক্ষকের যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন টাঙ্গাইলের এক ছাত্রী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “ওই শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিষয়ে আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ দেই। তবে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা অভিযোগ আমলে নেননি। প্রতিকার না পেয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিভিল সার্জন, স্বাচিপ-বিএমএ নেতাদেরও দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. আকিকুন নাহার বলেন, এক শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা সত্য হলে তা আড়াল করার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃ রফিকুল আলমকে ম্যাটস’র সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ/
আরও পড়ুন