রাজশাহীর আবাসিক হোটেলে নারী খুন
প্রকাশিত : ০৯:০৪, ১৮ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুরের আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিহত নারী এক যুবকসহ ওই হোটেলে উঠেন।
রোববার রাত ১২টার দিকে ড্রীম হ্যাভেন নামের হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ওই নারীকে।
নিহত নারীর নাম জয়নব বেগম (৪১)। তিনি নাটোর সদর থানার নারায়ণপুর গ্রামের তসির প্রামাণিকের মেয়ে। রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জয়নব ও এক যুবক ওই হোটেলে উঠেন।
তবে হোটেলের রেজিস্টারে ওই নারীর নাম জুলেখা (২৩) ও ছেলের নাম মিজান (২৭) লেখা রয়েছে। এছাড়াও দুজনের বাড়ি গোদাগাড়ীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ওই নারীর ব্যাগে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া গেছে। সেখান থেকে নারীটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, হোটেল কক্ষে নারীর লাশ পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে নগরীর লক্ষীপুর ড্রীম হ্যাভেনে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ তালা ভেঙে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। এর পর সিআইডি সুরুতহাল তৈরি করার পর ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ওসি বলেন, নিহত নারীর লাশ কক্ষের খাটের উপর পড়ে ছিল। তবে পায়ের কিছু অংশ ঝুলে ছিল খাটের নিচে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান ওসি।
ওসি জাহাঙ্গীর আরও বলেন, স্বামী পরিচয় দেয়া মিজান দুপুর দেড়টার দিকে ৪০৩ নম্বর কক্ষের দরজার বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান। রাতে মিজান না ফেরায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলে জয়নব বেগমকে ডেকে এনে হত্যা করেছে মিজান। তাদের দুজনের বাড়ি গোদাগাড়ীতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পরে পুলিশ জানতে পারে ওই নারীর বাড়ি নাটোরে।
মিজান নাম ব্যবহারকারি ওই যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
এএইচ/
আরও পড়ুন