যুবলীগ সভাপতির গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে সাংসদের সড়ক অবরোধ
প্রকাশিত : ০৯:৪০, ১৯ এপ্রিল ২০২২
রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছেন সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সাথে সাবেক ছাত্রনেতা সাহিদুজ্জামান শিপুর বাকবিতণ্ডার জেরে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় যুবলীগ সভাপতিসহ তার সহযোগিদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
সোমবার রাত ৯টার দিকে গাংনী উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে যুবলীগ সভাপতি দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করলে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সাময়িক যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যুবলীগ সভাপতিকে গ্রেফতারপূর্বক অস্ত্র জব্দ করার দাবি জানান তারা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহিদুজ্জামান শিপু বলেন, গাংনী উপজেলার সদ্য নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে মেনে নিতে না পেরে যুবলীগ সভাপতিসহ অনেকে নানা অপপ্রচার করে আসছিলেন। এ বিষয় যুবলীগ সভাপতির কার্যালয়ে আলোচনার জন্য কথা বলতে গেলে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় যুবলীগ সভাপতি নিজের পিস্তল দিয়ে পরপর দুই রাউন্ড গুলি ছুড়েন।
গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মখলেচুর রহমান মুকুলসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান বলেন, গাংনীতে বেশ কিছুদিন ধরে মোশাররফ হোসেনসহ তার সহযোগিরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার করা না হলে বুধবার যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ করে হরতালের হুশিয়ারী দেন তিনি।
এদিকে যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, ইফতার শেষ করে যুবলীগ অফিসে বসে থাকাবস্থায় এমপির সহযোগিরা আতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন তিনি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনকে পুলিশের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। সোমবার রাত দুটার দিকে গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলীর জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মলনে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিকে রাজাকারমুক্ত করার দাবি তোলেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন।
এ ঘটনার জেরে হামলা, গুলিবর্ষণ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এএইচ/
আরও পড়ুন