বিয়ের চাপ দেয়ায় হোটেলে নিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা
প্রকাশিত : ১৫:০০, ১৯ এপ্রিল ২০২২
প্রেমিক মিঠুন আলীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় আবাসিক হোটেলে নিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করে প্রেমিক। এ ঘটনায় প্রেমিক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেমিকাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে ঘাতক প্রেমিক।
মঙ্গলবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
এর আগে সোমবার রাতে নাটোরের নিজ বাড়ি থেকে প্রেমিক মিঠুন আলী (২৮)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সে নাটোর সদর থানার আগদিঘা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় একটি ইটভাটার কর্মচারি। তার স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার জয়নব বেগম (৪০) সদর থানার আটঘরিয়া গ্রামের তছির প্রামানিকের মেয়ে। তিনিও ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। জয়নব স্বামী পরিত্যক্ত ছিলেন।
পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, তিন মাস ধরে জয়নব ও মিঠুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে জয়নব বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। এ করণে বিয়ের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে রাজশাহীর একটি হোটেলে নিয়ে জয়নবকে হত্যা করে মিঠুন।
তিনি আরও বলেন, মিঠুনকে গ্রেপ্তারের সময় তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত পোষাক ও নিহত জযনবের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই তছলেম প্রামানিকের দায়ের করা হত্যা মামলায় মিঠুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাত ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে ড্রীম হ্যাভেন নামের একটি হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষ থেকে ওই নারী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে জয়নবের নাম ও পরিচয় বের করা হয়।
রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জয়নব ও ওই যুবক হোটেলে উঠেন। হোটেলের রেজিস্টারে ওই নারীর নাম জুলেখা (২৩) ও যুবকের নাম মিজান (২৭) লেখা হয়। এছাড়াও দুজনের বাড়ি গোদাগাড়ীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুপুর দেড়টার দিকে ৪০৩ নম্বর কক্ষের দরজা বাইরে দিয়ে তালা দিয়ে চলে যায় ওই যুবক। রাতে না ফেরায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ওই কক্ষের তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এএইচ/
আরও পড়ুন