ঈদে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে সিল্কের শাড়ি-পাঞ্জাবি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:২৩, ২১ এপ্রিল ২০২২
এবারের ঈদেও ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোষাক। চাহিদার যোগান দিতে ব্যস্ত রাজশাহীর রেশমপাড়ার শ্রমিকরা। কাপড় ও ডিজাইনের মান উন্নয়নে কাজ করছে রেশম বোর্ডও।
সিল্ক মানেই ঐতিহ্য। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে পছন্দের শীর্ষে সিল্কপণ্য। ঈদের জন্য সিল্কের কাপড়ের ওপরে অ্যামব্রয়ডারি ও হাতের কাজের শাড়ি ও পাঞ্জাবি এসে গেছে শোরুমগুলোতে। দাম নিয়েও ক্রেতাদের মনে নেই অসন্তোষ।
ক্রেতারা জানান, “দেশের ঐতিহ্য, এটাকে ধরে রাখার সর্বপরি সবারই আগ্রহ থাকা দরকার। বিদেশি পণ্যের চেয়ে দেশের সিল্কের মান অনেক উন্নত, অনেক সুন্দর।”
১৬ বছর বন্ধ থাকার পর গত দুই বছর ধরে পুরোদমে চলছে দেশের একমাত্র সরকারি রেশম কারখানা।
কারখানা শ্রমিকরা জানান, “সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। করোনাকালে আমাদের অনেক ঘাটতি গিয়েছে, সেটাকে এখন কাজ করে পূর্ণ করে দিতে চাইছি।”
দেশে রেশম সুতার চাহিদা ৫০০ মেট্রিকটন। উৎপাদিত হয় মাত্র ৪১ মেট্রিকটন। আগামী ২৪-২৫ অর্থ বছরের মধ্যে ১০০ মেট্রিকটন সুতা উৎপাদসহ রেশম শিল্পের উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে জানান রেশম বোর্ডের পরিচালক।
রাজশাহী রেশম বোর্ডের পরিচালক এমদাদুল বারী বলেন, “ভবিষ্যতে আমাদের আরও প্রকল্প থাকবে, অন্তত দেশীয় চাহিদাটা যাতে মেটাতে পারি। পরবর্তীতে হয়ত বিদেশেও এটা রপ্তানি করতে পারবো।”
১৯৫২ সালে সরকারিভাবে রাজশাহীতে রেশম উৎপাদন শুরু হয়। কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে।
১৯৭৮ সালে এটি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের হাতে হস্তান্তরিত হয়। এরপর লোকসানের মুখে ২০০২ সালে বন্ধ করা হয়।
পরে নতুন করে চালু হয় ২০১৮ সালে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় রেশম।
এএইচ/
আরও পড়ুন