সিরাজগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৭
প্রকাশিত : ১৩:১৪, ২৩ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৪:০০, ২৩ এপ্রিল ২০২২
সিরাজগঞ্জের মসজিদে ইমামের টাকা তোলা ও ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন নিয়ে পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
শনিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে খোরশেদ আলম (৫৫) নামে সলঙ্গার এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি সলঙ্গা থানাধীন চক মনোহরপুর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহজাদপুরের বিপ্লব হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন সলঙ্গা থানার চক মনোহরপুর গ্রামের ইউসুফ আলী (৫৪) ও শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামের আল-আমিন (৩৪), আনোয়ার হোসেন (৪৫), মোতাহারুল হক (৬৫), হাবিবুল হক হারুন (৩৫), আব্দুস সাত্তার খান (৪৫) এবং সাকিল হোসেন সরকার (২৩)।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চক মনোহরপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলীর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ওয়াজেদ আলী সরকারের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয় খোরশেদ আলমের। এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে মসজিদের বাইরে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
এতে খোরশেদ আলম গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শজিমেকে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামবাসী জানান, শুক্রবার বিকালে ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন নিয়ে লুৎফর রহমান ও আকমল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বিপ্লব হোসেনকে আশংকাজনক অবস্থায় রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর মাস্টার, তোরাব আলী, আব্দুল মতিন ও সাকিল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান জানান, ঈদগাহ মাঠের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপ্লব হোসেন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন