ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শার্শা-বেনাপোলের দর্জিঘরে ঈদের ব্যস্ততা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৪:৩৯, ২৪ এপ্রিল ২০২২

প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের দীর্ঘ দুই বছর পর স্বাভাবিকভাবে ফিরেছে সবকিছু। ঈদকে সামনে রেখে আনন্দের হাওয়া বইছে পোশাকের দোকানগুলোতে। কাজের গতি দিনে দিনে বাড়ছে দর্জি কারিগরদের। ঠিক তেমনই বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার দর্জি কারিগরদের কাজ বেড়েছে কয়েকগুণ। 

সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। দোকানীদের এমন ব্যস্ততার পাশাপাশি ক্রেতাদের ভীড়ও দেখা গেছে গেলো কয়েক বছরের তুলনায়।

শার্শা উপজেলার নাভারণ, বেনাপোল, শার্শা, বাগআঁচড়া এলাকার বেশ কয়েকটি দর্জিবাড়িতে ঘুরে এমন ব্যস্ততা চোখে পড়ে।

ক্রেতারাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আর কিছুদিন বাদেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। সবাই নতুন পোশাকে পরিবার-প্রিয়জন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় পছন্দমতো পোশাক বানাতে ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে। তাই উপজেলা জুড়েই দর্জির দোকানে এখন ভীষণ ব্যস্ততা।

দোকানিরা জানালেন, এখন ব্যস্ততা অনেক বেশি। রমজানের শুরু থেকে আস্তে আস্তে এ ব্যস্ততা বাড়তে থাকে। এখন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে। 

পরিশ্রম একটু বেশি হচ্ছে তবুও তারা খুশি। কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও বাড়ে তাদের।

দর্জি কারিগর রবিউল, দিন ইসলাম, মৌসুমি, মায়া খাতুন ও মরিয়ম জানান, দীর্ঘদিন পর এবার কাজের চাপ বেশি। রমজানের শুরু থেকে ক্রেতাদের চাপ হলেও দিনে দিনে ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়ছে। 

গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরে দর্জি কারিগরদের মজুরি ভালো পাওয়াতে খুশি কারিগররা। এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৩৫০-৪০০ টাকা, শার্টে ২২০-২৫০ টাকা, পাঞ্জাবিতে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি