নারায়ণগঞ্জের পাঁচ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ২৪ এপ্রিল ২০২২
নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচ রুটে ১৮টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। তবে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের নিচের ৫২টি লঞ্চের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া লঞ্চ চালুর অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। তবে সব লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা।
গত ২০ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ রূপসী-৯’র ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে ১০ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচ রুটে চলাচলকারী ৭০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, নারায়ণগঞ্জের পাঁচ রুটে মোট ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ৭০ ফুট দৈর্ঘের নীচের লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-রামচন্দ্রপুর, নারায়ণগঞ্জ-নড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ-মতলব, এই পাঁচ রুটে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করবে।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ৭০টি লঞ্চের মধ্যে ১৮টি লঞ্চ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাই। কেউ খাবো কেউ খাবো না তা হবে না। সব লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল।
এএইচ/
আরও পড়ুন