ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিক শিল্পনগরীতে পানি, উৎপাদন বন্ধ
প্রকাশিত : ১৪:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)র শিল্পনগরীর কমপক্ষে ৩০টি কারখানা পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে ওই কারখানাগুলোতে গত চার-পাঁচদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় ঈদ মৌসুমে বাড়তি উৎপাদন তো দূরের কথা নিয়মিত উৎপাদনই করতে পারছে না কারাখানাগুলো। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদেরকে।
জানা গেছে, বিসিক শিল্পনগরীতে মোট ৬৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিসিকের সামনে দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চারলেনের কাজ চলতে থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বালুসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিসিকের সামনের খালটিও বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়। ওই খালটিতে পুরো বিসিক এলাকার কারখানাগুলোর বর্জ্য পানি ফেলা হতো।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে থেকে খালটি ভরাট কাজ শুরু হয়। গত চার-পাঁচ দিন আগে সামনের অংশের খাল পুরোপুরি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিসিকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এতে করে শিল্পনগরীর আব্দুল মোনেম লিমিটেড, মুন্নী সোপ, মা-মণি সোপ, আলম ক্যামিকেল, সুবর্ণ আইসক্রিম, বাবুল চিড়ার মিল, ভাই ভাই মুড়ির মিল, কাসেম মেটাল, রতন ফুড, রহিমা লুভ ওয়েল, জাবেদ মেটাল, ভাই ভাই অ্যালমুনিয়াম, পিন্টু বলপেন, মান্নান ক্যামিকেল, আপন মেজর ফ্লাওয়ার মিলসহ অন্তত ৩০টি কারখানায় পানি ঢুকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বিসিক কার্যালয়ের আঙ্গিনায়ও পানি উঠেছে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ফোরলেন প্রকল্প পরিচালক খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, খালের অংশটি সড়ক ও জনপথের। এখানে বিসিকের কোনো জায়গা নেই। বিসিক কর্তৃপক্ষকে নির্ধারণ করতে হবে তারা কোথায় বর্জ্য পানি ফেলবেন। এজন্য তাদেরকে নিজস্ব ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
বিসিক শিল্প নগরীরর সহকারি মহাব্যবস্থাপক মোঃ রুকন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রশাসনিক কার্যালয়সহ অর্ধেকের মতো কারখানা পানিতে তলিয়ে আছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদেরকে জানানো হয়েছে। একটি নালা কেটে দেওয়ার কথা বলেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এখনও তারা সেটা করেননি।
এএইচ/
আরও পড়ুন