না’গঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ৮ বছর
প্রকাশিত : ১৪:০৮, ২৭ এপ্রিল ২০২২
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ৮ বছর আজ বুধবার। নৃশংস এই হত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এরপর তিন বছর পেরুলেও আপিল শুনানি এখনও শুরু হয়নি।
সাত বছর আগে এই দিন আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার, তার গাড়িচালক ইব্রাহিম, মনিরুজ্জামান স্বপন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর, নজরুলের সহযোগী তাজুল ইসলাম ও তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটনকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করে ইটবেধে শীতলক্ষ্যায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
এই নৃশংস হত্যার ঘটনা শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, পুরো দেশকে নাড়া দিয়েছিল।
অপহরণের তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল নজরুলসহ ৬ জন ও ১ মে লিটনের লাশ শীতলক্ষ্যায় ভেসে উঠে।
এ ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত সাত খুন মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানের আদেশ হয়।
পরে উচ্চ আদালতে ২০১৭ সালে ২২ আগস্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখা হয়। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায়ের পর নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলাটি এখন আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
২০১৮ সালে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এরপর তিন বছর পেরোলেও এই আপিল শুনানি এখনও শুরু হয়নি।
আলোচিত এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি নিহতের পরিবারের।
এএইচ/
আরও পড়ুন