ময়মনসিংহ মেডিকেলে তিনগুণের বেশি রোগী, বারান্দাতেও ঠাঁই নাই (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ২৮ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫৭, ২৮ এপ্রিল ২০২২
ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওয়ার্ডগুলোর বিছানা উপচে মেঝে কিংবা বারান্দাতেও ঠাঁই মিলছে না অনেকের। আশ্রয় নিতে হচ্ছে সিঁড়ির পাশে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, চলমান দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ শেষে রোগীদের দুর্ভোগ কমে আসবে।
এক হাজার শয্যার টারশিয়ারি লেভেলের হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেবা নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও জায়গা সংকটে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনেরা।
রোগী ও স্বজনরা জানান, “প্রচুর রোগীর চাপ, বারান্দায় তো আছেই সিঁড়ির নীচেও রোগী। ওয়ার্ডে থাকলে ঠিকমত চিকিৎসাটা পাওয়া যায়। কিন্তু দূরে থাকলেও তা পাওয়া যায় না।”
তবে, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭ তলা ও ৭ তলার দুটি বহুতল ভবন নির্মাণ চলছে। আরও ভবন নির্মাণসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন। নির্ধারিত সময়ে এসব কাজ শেষ করার দাবি রোগী ও স্বজনদের।
রোগী স্বজনরা জানান, “রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবেশটাও খুবই দরকার। ভবনটা দ্রুত হলে রোগীদের জন্য খুবই ভাল হয়।”
সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
বিএমএ সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভুইয়া বলেন, “দুটি কাজ চলমান আছে, একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ৭ তলা আরেকটা ১৭ তলার। এ দুটি যদি হয়ে যায় তাহলে বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী, আশপাশের গাজীপুর, টাঙ্গাইলের কিছু লোকজন বেশ উপকৃত হবেন।”
হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, ৭ তলা ভবনটি আগামী ডিসেম্বরে এবং ১৭ তলা ভবনটি আগামী বছরের জুনে তৈরি হয়ে যাবে। তখন রোগীদের কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ১২তলা ভবন, ওয়ার্ডের ১০তলা ভবন এবং ২১তলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উক্ত কাজগুলো সম্পন্ন হলে মানুষের যে ভোগান্তি তা অনেকাংশে লাঘব হবে।”
হাসপাতালটিতে রোগীদের চাহিদার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত চান সবাই।
এএইচ/
আরও পড়ুন