চৌমুহনীতে দু’শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই, ব্যবসায়ীর মৃত্যু, আহত ১৫
প্রকাশিত : ২০:২২, ২৯ এপ্রিল ২০২২
নোয়াখালীর বৃহত্তর বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাংক রোডের দু’পাশের অন্তত দুই শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে অন্তত কয়েক কোটি টাকার। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মিলে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং আগুনের লেলিহান শিখা দেখে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে (স্ট্রোক) আবদুল করিম রিংকু নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গভীর রাত পর্যন্ত নোয়াখালী ও ফেনী ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। শুক্রবার বিকেলেও ঘটনাস্থলে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট।
মৃত আবদুল করিম রিংকু বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি হোসেন মার্কেটের ‘মারওয়া ফ্যাশন’ এর সত্ত্বাধিকারী ছিলেন। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ৫০ শয্যা বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান সড়ক সংলগ্ন ব্যাংক রোডের একটি চায়না রেক্সিন দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। খবর পেয়ে চৌমুহনী, মাইজদী, সোনাইমুড়ী, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, ফেনী ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চৌমুহনী দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে জেলা শহর মাইজদী, সোনাইমুড়ী, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ ও ফেনী দমকল বাহিনীর ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ হয়। তাদের সঙ্গে সহায়তা করে রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয়রা। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে কাপড়, প্লাস্টিক, হার্ডওয়ার, সিরামিক, ফার্মেসী, জুতা, লাইব্রেরী ও সিলিন্ডারসহ অন্তত দুই শতাধিক দোকানের মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সড়কগুলো সরু হওয়ায় এবং পানির ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় ক্ষেপণ হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।
জেলা দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা যাবে না। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আমাদের ৩টি ইউনিট কাজ করছে।
এনএস//
আরও পড়ুন