দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৯:২১, ১০ মে ২০২২
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “পটুয়াখালীর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু পানি সংকট। খালগুলো ভরে গেছে, সেচের ব্যবস্থা নাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো কাজ করেনা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে তিন-চার হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার কৃষিতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসবো যাতে দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনিতিতে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।”
সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর বদরপুরে মুগডালের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করতে কোন জমি যাতে আর অনাবাদি না থাকে সেজন্য কৃষি গবেষণা ইনিস্টটিউট আবহাওয়া সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে। এসব ফসল উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদেরকে সার, উন্নতমানের বীজ ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রনোদনা দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “পটুয়াখালীতে আগে কৃষকেরা শুধুমাত্র ধান চাষ করত। শুকনা মৌসুমে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে অন্য কোন ফসলের চাষ করা যেতনা। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে ডাল চাষের উদ্যোগ নেয়। বারি মুগ-৬ চাষ করে এখানকার কৃষকেরা এখন লাভবান হচ্ছেন। দেশে মোট মুগডাল উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ হচ্ছে পটুয়াখালীতেই। এই ডাল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাপানে রপ্তানি হচ্ছে।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “পটুয়াখালীতে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার নেই, কৃষকেরা যাতে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য ভর্তুকির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া মুগডাল মাড়াইয়ের যন্ত্র ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।”
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নানসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় কৃষকরা।
পরে কালিকাপুর ইউনিয়নের শারিকখালীতে বোরো প্রদর্শনীর নমুনা ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী।
এএইচ/
আরও পড়ুন