ইউএনও’র গাড়ি চাপায় সাংবাদিক নিহত, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত : ১২:১৯, ১০ মে ২০২২
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র গাড়ি চাপায় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, গাড়ির চালক কে ছিলেন এবং সরকারি গাড়ি নিয়ে কেন সেখানে যাওয়া হয়েছিল। চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচ্ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে। অপর দুই সদস্য হলেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম সামিরুল ইসলাম ও নাটোরের বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রাশেদুজ্জামান।
এদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষের অকাল মৃত্যুতে নির্বাক হয়ে পড়েছেন সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবনের স্ত্রী জনি আক্তার। নাবালক দুটি সন্তানসহ পরিবারের ৫ জনের ভরণ পোষণ ও সন্তানদের ভবিষৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। স্বামীর অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেননা জনি আক্তার। এখন শুধুই বিলাপ করছেন তিনি।
সোহেল আহমেদ জীবন উপজেলার সেরকোল আগপাড়া বন্দর হাইস্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত সংবাদে সিংড়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তার আয়েই চলতো তাদের সংসার।
অপরদিকে, সোমবার সন্ধ্যার পর সাংবাদিক সোহলে রানা জীবনের লাশ তার বালুয়া বাসুয়ার বাড়িতে নেওয়া হয়। এসময় পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
পরে বাদ এশা জানাজা নামাজ শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও থানায় কোন মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারসহ স্থানীয় সাংবাদিক মহল এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এবিষয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর-ই আলম জানান, এ সংক্রান্ত কোন এজাহার এখনও তিনি পাননি।
উল্লেখ্য, সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া উপজেলার নিংগুইন এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পোর সামনে নলডাঙ্গা ইউএনও’র সরকারি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে সোহেল আহমেদ জীবন নিহত হন। এসময়ে তিনি মোটরসাইকেলযোগে তার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
এএইচ/
আরও পড়ুন