ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

ভারতীয় নাগরিক হত্যায় প্রেমিকার যাবজ্জীবন

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:০৭, ১০ মে ২০২২

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বাংলাদেশি তরুণী নাসিমা খাতুন

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বাংলাদেশি তরুণী নাসিমা খাতুন

পাবনার ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক হত্যা মামলায় নাসিমা খাতুন (৩০) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাসিমা খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর মেয়ে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিহত ভারতীয় নাগরিকের নাম আজব লাল যাদব (৫০)।

মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক জানান, ভারতের বিহার প্রদেশের মাধুরাণী জেলার বাসিন্দা আজব লাল যাদব ২০১৪ সালের ২৮ মে ঈশ্বরদীর রশিদ অয়েল মিলে রিফাইনারি ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। সেখানে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। 

২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর রশিদ অয়েল মিল থেকে চাকুরিচ্যুত হয়ে তিনি অন্যত্র চাকুরি নেন। সে সময় তিনি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাড়া থাকার সুবাদে বাড়ির মালিকের মেয়ে নাসিমা খাতুনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সে সময় প্রচুর পরিমাণে মদপানও করতেন।

২০১৭ সালের ৬ মে কালিকাপুর গ্রামস্থ সাইফুল্লাহর ভাড়া বাড়িতে থেকে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ৭ মে ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড়ির মালিক সাইফুল্লাহর মেয়ে নাসিমা খাতুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

তদন্তে আজব লাল জাদবকে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফলের জুসের সঙ্গে বিষ পান করিয়ে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘদিন মামলার শুনানী ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক, আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি