সয়াবিনের চাষ হচ্ছে চট্টগ্রামে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২০, ১১ মে ২০২২
চট্টগ্রাম শুরু হয়েছে সয়াবিন ও সূর্যমুখীর চাষ। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১৮৬ হেক্টর পতিত জমি তৈলবীজ জাতীয় ফসল চাষের আওতায় এনেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। পর্যায়ক্রমে এসব শস্যের আবাদ বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সরিষা, সয়াবিন, সূর্যমুখীর আবাদ সম্প্রসারণে জোর দিয়েছে চট্টগ্রামের কৃষি বিভাগ। জেলার বিভিন্ন এলাকার অনাবাদি জমি আনা হচ্ছে তৈলবীজ জাতীয় শস্য চাষের আওতায়। কৃষকদের পক্ষ থেকেও মিলছে প্রত্যাশিত সাড়া।
কৃষকরা জানান, “প্রথমাবার সয়াবিন চাষ করেছি। সরকার থেকে বীজ ও সার দিয়েছে। এগুলো করার পর যদি লাভবান হই তাহলে আগামী বছর আরও বেশি করে করবো।”
জেলার ফটিকছড়িতে সূর্যমুখী এবং সয়াবিনের আবাদ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
ফটিকছড়ি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “ফলন দেখে নিশ্চিত ধরে নিচ্ছি এবার উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।”
এদিকে, ভোজ্যতেল বাদেও সরিষা, সয়াবিন ও সূর্যমুখীর বীজ পোল্ট্রি ও গবাদি পশুর ফিড তৈরির অন্যতম কাঁচামাল। তাই এসব শস্যের চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, “গোখাদ্যের কস্টিং মিনিমাইজ করা ও আমিষের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য আমরা সয়াবিন দিয়ে থাকি।”
চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমি তৈলবীজ চাষের আওতায় এসেছে। পর্যায়ক্রমে এসব ফসলের আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, “সূর্যমুখি এবং সরিষা এই সমস্ত ফসল চাষ করতে খুব অল্প পরিমাণে পানি লাগে। পতিত জমিগুলোতে যদি এই তেল জাতীয় ফসল চাষ করতে পারি তাহলে পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে পারবো।”
চট্টগ্রামসহ দেশের সব অঞ্চলের অনাবাদি কৃষি জমি তৈলবীজ জাতীয় শস্য চাষের আওতায় আনা গেলে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন