ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ভেঙে ‘দিয়াড় উপজেলা’ গঠনের দাবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ২১:৪১, ১২ মে ২০২২ | আপডেট: ১৯:৩০, ১৩ মে ২০২২

পদ্মা নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে জনবহুল লোকালয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটিকে বলা হয় ‘দিয়াড়’। ওই এলাকার সাত ইউনিয়নকে নিয়ে ‘দিয়াড় উপজেলা’ গঠনের দাবিতে দিয়াড় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলহাজ রফিকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ১৭ সদস্যের ‘দিয়াড় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়। এছাড়াও কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ১০ জন।

এর আগে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম বলেন, সর্বনাশা পদ্মা নদীর সাথে দিয়াড় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা মিশে আছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষরা অনেক অবহেলিত। দিয়াড়ে কোন কলকারখানা, কুটির শিল্পসহ বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। তাই এই অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়নকে নিয়ে দিয়াড় উপজেলা গঠন করা হলে সব শ্রেণিপেশার মানুষের উপকার হবে। এটি আমাদের দাবি নয়, অধিকার।

জেলা পরিষদের প্রশাসক আশরাফুল হক বলেন, দিয়াড় অঞ্চলের সাত ইউনিয়নের সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আজকে একত্রিত করতে পেরে ভালো লাগছে। অবহেলিত জনপদে আমরা দিয়াড় উপজেলা পরিষদ গঠন করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর ও রাজশাহীতে গেলে অনেকেই আমাদের ‘দিয়াড়্যা’ বলে উপহাস করে। কিন্তু আমরা এটা নিয়ে অহংকার করতে চাই। এই অহংকারকে বাস্তবায়ন করতেই প্রশাসনিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চাই। আামাদের প্রাণের দাবি দিয়াড় উপজেলা কোন জায়গায় হবে, সেটি মুখ্য বিষয় নয়। দিয়াড় উপজেলা গঠন করতে হবে, এটাই মুখ্য বিষয়। উদ্যোগ নেয়া বেশিরভাগ মানুষই দিয়াড়ে জন্মগ্রহণ করলেও তারা সবাই জেলা শহর ও রাজশাহীতে থাকেন। অথচ নাড়ির টানে তারা আজকে ছুটে এসেছেন। নিঃস্বার্থভাবে তারা এই দাবির সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন।

সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, দিয়াড় উপজেলা গঠনের দাবিতে দলমত ভুলে আজকে সবাই এক কাতারে এসেছেন। এটি অনেক আগেই বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল। সদর উপজেলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার ভোট। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে গিয়ে বঞ্চিত হন দিয়াড় অঞ্চলের মানুষ। দিয়াড়ের ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে অনেক আগেই উপজেলা গঠন করার কথা ছিল। যা বিভিন্ন সময়ে আমরা সরকারের নজরে এনেছি। আমাদের এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেনÑ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলহাজ রফিকুল ইসলাম, দেবিনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন, চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীদ রানা টিপু, শাহজাহানপুর ইউপি  চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাইরুল ইসলাম, সুন্দরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান তোতাসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

আরকে//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি