ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিশু নির্যাতন মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক জেলে

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪৪, ১৭ মে ২০২২

মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার মামলায় আল জামিয়া আল সালাফিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। 

মঙ্গলবার রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন।

বাদিপক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন জানান, মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহমান। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর টাকা হারানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আব্দুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে এবং ওই মাদ্রসার চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তোলেন রামিম ইসলাম রিফাত (১২) নামের এক শিক্ষার্থী। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন আব্দুর রহমান। এ সময় আরও ছয় ছাত্রকেও পেটানো হয়। 

এই ঘটনায় আহত রিফাতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ওই শিশুর বাবা মেরাজুল ইসলাম রেন্টু বাদি হয়ে নগরীর শাহমখদুম থানায় মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করায় আলোচিত ইসলামিক বক্তা আব্দুল রাজ্জাক বিন ইউসুফ ওই শিশুটির পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড গণমাধ্যম কর্মীদেরকে সরবরাহ করেন ওই শিশুর পরিবার। 

ওই রেকর্ডে শোনা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবা মেরাজুল ইসলাম রেন্টুকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ও অভিশাপ দিচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। এ সময় তিনি ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত হওয়ারও হুমকি দেন। 

এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন শিশুটির বাবা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি