ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় নষ্ট ৪শ’ একর জমির ধান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪১, ১৯ মে ২০২২
চাঁদপুরে অধিকাংশ ইটভাটা মানছে না সরকারি নীতিমালা। মাটি, বালু ও বর্জ্যে ভরাট হচ্ছে খাল-নদী, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছ ও কৃষি। লালমনিরহাটেও অনুমোদনহীন একটি ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির বোরোধান ও ভুট্টা এবং আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচুগাছের।
চাঁদপুরের ১০৬টি ইটভাটার মধ্যে অর্ধেকই অবৈধ। নীতিমালা উপেক্ষা করে ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কৃষিজমির সাথে গড়ে উঠেছে বেশিরভাগ।
কালো ধোঁয়ায় অসুস্থ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরাও। তবে এসব নিয়ে অভিযোগ পাননি বলে দাবি ভাটামালিকদের।
স্থানীয়রা জানান, “ধান, সবজি, ফল কিছুই হচ্ছে না, সবই বিষাক্ত ধোঁয়ায় জ্বলে-পুড়ে যায়।”
ভাটা মালিকরা জানান, “৪০ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি। এলাকার যদি কোন ক্ষয়ক্ষতি হতো তাহলে তারা অভিযোগ দিত। এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
লালমনিরহাট সদরের কর্ণপুর গ্রামের ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিভিন্ন ফসল ও ফল বিনষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক কৃষক।
কৃষকরা জানান, “সার-ঔষধ বাকিতে নিয়েছি, তা দিব কোথা থেকে। আর কি খেয়েই বা বাঁচব। সব ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
কৃষিজমি থেকে লোকালয়ের বাইরে ভাটা সরিয়ে নেওয়ার দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
কৃষকরা জানান, “ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কয়েকশ’ একর জমির ফসল জ্বলে গিয়েছে। আমাদের সবকিছুই শেষ, কি খাব?”
অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।
লালমনিরহাট সদর ইউএনও মাহমুদা মাসুম বলেন, “আপনারা অভিযোগ দিন এবং কার কি পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কি কারণে হয়েছে তা লিখত আকারে দিন।”
চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের মো. হান্নান, সহকারী পরিচালক বলেন, “
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, “জেলায় কতগুলো অবৈধ ইটভাটা আছে তার তালিকা করেছি এবং সেই তালিকা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করছি।”
পরিবেশ, কৃষি ও কৃষকসহ এলাকাবাসীকে রক্ষায় নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ চান সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/
আরও পড়ুন