হাতিয়ায় সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত : ১৭:২২, ১৯ মে ২০২২
সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য শুক্রবার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
নিষিদ্ধকালীন সময়ে সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ থেকে বিরত থেকে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস।
তিনি বলেন, ‘‘ইলিশ’সহ সামুদ্রিক মাছের সঠিক সংরক্ষণের ওপর দেশের মৎস্য রপ্তানিসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। প্রতি বছর সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে মৎস্য বিভাগ।
‘‘উপজেলায় কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১২হাজার ৩৬৮জন। এর বাইরে কয়েক হাজার জেলে রয়েছে এ উপজেলায়। নিষেধাজ্ঞার সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হিসেবে ৬৫ দিনে প্রায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে তালিকাভুক্ত জেলেদের। এর বাইরে যারা আছে বরাদ্দ না থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা সম্ভব হয়না।’’
এদিকে হাতিয়া মৎস্যজীবী সমতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘‘উপজেলার ছোট বড় প্রায় ১৫০টি ঘাটে মাছ ধরার বোট রয়েছে অন্তত ১০হাজার। যেখানে সাগরে মাছ ধরায় কাজ করে প্রায় ৩০হাজার জেলে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সময় মৎস্য অধিদপ্তরের কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে কিছু জেলে সহায়তা পান। তবে বেশির ভাগ অংশই সহায়তার বাইরে। ফলে এসময় তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।’’
এমএম/
আরও পড়ুন